পঞ্চগড় প্রতিনিধি : অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের দইখাতা গ্রামটি একসময় সিট মহল ছিল, সিট মহল থাকা কালীন সময়ে ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আমজাদ হোসেন কে বাংলাদেশের অন্য স্থানে জমি দেওয়ার কথা বলে সহজ সরল মোঃ আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে দই খাতা স্কুলের নামে ৫০ শতক জমি নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন ও সভাপতি মোঃ আলা উদ্দিন আলাল, উভই মালকা ডাঙ্গা ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ৫০ শতক জমির দাগ নং- ৮২৮, ও খতিয়ান নং-৮৩ পরবর্তীতে সিট মহল গুলো বাংলাদেশ এর অধীনস্থ হলে দই খাতা স্কুলটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হয় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যাও বেড়ে যায় এমনতা অবস্থায় স্কুলটি এমপিও ভুক্ত হলে, শুরু হয় প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন এর ঘুষ নিয়োগ বাণিজ্য। এদিকে ভুক্তভোগী জমিদাতা মোঃ আমজাদ হোসেন হৃদয়বিদারক কান্না করে বলেন প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন, আমাকে অন্যখানে জমি দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে সুকৌশলে ৫০ শতক জমি স্কুলের নামে করে নেয় কিন্তু এখন আমার জমিও নেই টাকাও নেই আমার ছেলেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল চাকরিও নেই। আমি এখন অসুস্থ প্যারালাইসিস রোগী আমার দাবি পূরণের কথা প্রধান শিক্ষক আলমগীরের কাছে বলতে গেলে সে আমাকে উল্টো জানে মারার হুমকি দেয় এবং বলে ভোট বের হলে তুই যেখানে আছিস তোর বাড়ি ঘর ভেঙে তোকে এখন থেকে উচ্ছেদ করে দেবো এবং তুই নৌকা প্রেমিক নৌকা তোর পাছায় ঢুকায় দিবো এই ধরনের হুমকি দেয় এই দই খাতা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন। এখন ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম,ও স্বামী আমজাদ হোসেন জানান আমি অসুস্থ প্যারালাইসিস হয়ে ঘরে পড়ে আছি কোন কাজকর্ম করতে পারি না।
এদিকে আমার ছেলে কে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল চাকুরি ও নেই আমাকে অন্য স্থানে জমি দেওয়ার কথাছিল তাও নেই টাকা চাকরি কোনটাই দেননি প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন ও সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল বরং উল্টো হুমকি দিচ্ছে আমাদের করে আমি এর বিচার চাই আমি অসহায় মানুষ আমাকে বাড়ি ভিটা থেকে উচ্ছেদ করলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। আমার শেষ সম্বল বলতে এ বাড়ি ভিটা টুকুই আছে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই সরকার যাতে আমার দিকে সুদৃষ্টি দেন এবং আমাকে আমার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না করেন আমি এই জমির চিন্তায় আজ বিছানায় পরেছি, আমার প্রতি দয়া করুন। এবিষয়ে দইখাতা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে ও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তার ফোন বন্ধ ছিলো।