মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁওঃ প্রতিবেশির সাথে ঝগড়া বিবাদের জেরে গতকাল শুক্রবার থানা পুলিশ উপজেলার কেউটান এলাকায় গিয়ে উভয় পক্ষকে বিচার শালিসের কথা বলেন। শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে বিচার হওয়ার কথা ছিল। তার পূর্বে প্রমিলার মৃত্যু হওয়ায় শালিস করা হলো না চেয়ারম্যানের।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কেউটান গ্রামে তিলক রায়ের পরিবারের সাথে একই গ্রামের মনসিংহ (কাচালু)’র পরিবারের সাথে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।থানার এএসআই নুর আলম রাতেই ঘটনা স্থলে গিয়ে পারিস্থি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় তিলকের স্ত্রী প্রমিলা রাণী (৫০) অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ভাবে তাকে চিকিৎসা করেন তার বাড়ির লোকজন। রাতভর বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও প্রমিলার কোন উন্নতি না হওয়ায় ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ নিয়ে প্রমিলার স্বামী তিলক রায় বাদী হয়ে মনসিংহ (কাচালু) ও তার ভাই পরেশ রায়সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে পরদিন রবিবার জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদি তিলক চন্দ্র বলেন, মনসিংহ (কাচালু) সহ তার লোকজন আমার ছেলে ও স্ত্রীকে মাথার চুল ধরে বেধড়ক পিটিয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে আসার পরে আমরা সবাই রক্ষা পাই। মারপিটের কারণেই আমার স্ত্রী প্রমিলার মৃত্যু হয়েছে।
তাছাড়া হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান এ ঘটনায় শনিবার দুপুর ১২টায় ইউপি কার্যালয়ে বিচার শালিস ডেকে ছিল।সংশ্লিষ্ঠ্য ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুঠোফোনে বলেন, শনিবার দুপুর ১২টায় ইউপি কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে শালিসে ডাকা হয়েছিল । কিন্তু রাতে প্রমিলার মৃত্যু হওয়ায় শালিস করা সম্ভব হয়নি।
থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। দুইজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।