ইসলাম ডেস্ক : আমাদের দেশে একটি প্রচলিত ধারণা হলো, ওমরা করতে গেলে বা কাবা দেখলে হজ ফরজ হয়ে যায়। এ ধারণা সঠিক নয়। কাবা দেখা না দেখার সাথে হজ ফরজ হওয়ার সম্পর্ক নেই। জীবনে একবার হজ করা প্রতিটি মুসলমানের ওপরই ফরজ যদি তার হজ করার সামর্থ্য থাকে।হজ ফরজ হওয়ার জন্য হজের মৌসুমে হজে যাওয়া-আসার খরচসহ সফরে থাকাকালীন দিনগুলোতে পরিবারের লোকদের স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। বর্তমানে ওমরাহর খরচ আর হজের খরচ এক রকম নয়। ওমরাহর ভিসায় মক্কায় গিয়ে হজের জন্য থেকে যাওয়াও নিষিদ্ধ। তাই ওমরা করতে গেলেই হজ করার সামর্থ্য প্রমাণিত হয় না। হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। তাই সামর্থ্য থাকলে অযথা অবহেলা বা দেরি না করে দ্রুত হজ করে ফেলা উচিত।
আল্লাহ বলেছেন,
اِنَّ اَوَّلَ بَیۡتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیۡ بِبَکَّۃَ مُبٰرَکًا وَّ هُدًی لِّلۡعٰلَمِیۡنَ فِیۡهِ اٰیٰتٌۢ بَیِّنٰتٌ مَّقَامُ اِبۡرٰهِیۡمَ ۬ۚ وَ مَنۡ دَخَلَهٗ کَانَ اٰمِنًا وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِیٌّ عَنِ الۡعٰلَمِیۡنَ
নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা মক্কায়। যা বরকতময় ও হিদায়াত বিশ্ববাসীর জন্য। তাতে রয়েছে স্পষ্ট নির্দশনসমূহ, মাকামে ইবরাহিম। আর যে তাতে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ হয়ে যাবে এবং সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।
(সুরা আলে ইমরান: ৯৬, ৯৭)