এসএম রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুয়েল রানার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা-বানোয়ার মামলায় জামিন দিয়েছে আদালত। আদালতের জামিন পেয়ে গত রবিবার তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। কারাগারের গেইটে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ। এদিকে,তার জামিনে মুক্তি নিয়ে একটি কুচক্রী মহলের মদদে আদালতের কার্যক্রম নিয়ে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে একটি সংবাদপত্র। এদিকে, আদালতের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ওই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। জানা যায়, জুয়েল রানা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।
এনিয়ে মাদক বযবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে নানারকম ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মাদক সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যরা ইউপি সদস্য জুয়েল রানাকে মাদকের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৪ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বেলেপুকুরের বাসায় মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বাড়িতে মাদক উদ্ধারের মামলা দেয়া হয় তাকে। এবিষয়ে চরবাগডাঙ্গার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন,সীমান্তবর্তী চরবাগডাঙ্গা এলাকায় হেরোইনসহ মাদকের ছড়াছড়ি। কিন্তু জুয়েল রানা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। এতে মাদক সিন্ডিকেটের শত্রুতে পরিনত হন জুয়েল রানা। এরই ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। আমরা চাই, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক। চরবাগডাঙ্গা এলাকার আশরাফুল ইসলাম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় জুয়েল রানার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। অথচ মাদকের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা প্রসংশার দাবি রাখে। তবে তার মতো একজন মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার জনপ্রতিনিধিকে এভাবে হয়রানী করলে জনগণও বসে থাকবে না। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র সামাজিক আন্দোলন ও মানববন্ধন গড়ে তুলবে। এবিষয়ে ইউপি সদস্য জুয়েল রানা বলেন, দেশের অন্যতম শীর্ষ টেরো মাদক কারবারি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু ওই এলাকার সকল মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার নির্দেশে অনেক কিছু ঘটে গোপনে হয়ে যাচ্ছে, তার ভাই রনি নিজে উপস্থিত থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্য আমার নামে এসব মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়েছে। ঘটনার ২৮ দিনের মাথায় আদালত সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে আমার জামিন মঞ্জুর করে। বাড়িতে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার সরঞ্জাম নিয়ে আসে তারা। মাদক সম্রাট টিপুর ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মাদক মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সেই একই সিন্ডিকেট আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে উৎসাহিত করেছে। ইউপি সদস্য জুয়েল রানা প্রতিবাদে আরও উল্লেখ করেন,আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এজন্য আমার জামিন পাওয়ার খবরে এলাকার সাধারণ মানুষ আমাকে নিতে জেল গেটে ভিড় করে। তবে রাতে এলাকায় বোমা ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাস করা হয়েছে এটি যুগান্তর প্রতিবেদকের মনগড়া। বোমা বিস্ফোরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হয়রানীর শিকার হয়েছি। এমনকি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপুর মদদে আমার জামিনকে নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকা মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে যামানহানিকর,সেখানে আদালতের জামিনকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যা আইন ও সংবিধান লংঘন পরিপন্থী। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সব লোকের ও মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।