Subscribe our Channel

শিশুদের পদচারণায় মুখর শিশুপ্রহর

নিজস্ব  প্রতিবেদক : শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে অমর একুশে বইমেলার শিশুপ্রহর। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরে উদ্বোধন করা হয় শিশু প্রহরের।শিশুদের আনন্দ-বিনোদনের জন্য সকাল থেকেই আজ নানা আয়োজন করেছে সিসিমপুর। বই মেলায় ছোটদের মূল আকর্ষণ শিশুপ্রহর।শিশুচত্বর ঘুরে দেখা গেছে, বাবা-মায়ের হাত ধরে শিশুরা এসেছে মেলায়। সিসিমপুরের স্টেজে হৈ-হুল্লোড় মেতে উঠেছে তারা। পাশাপাশি বাবা-মায়েরাও স্টেজের বাইরে থেকে শিশুদের সাড়া দিচ্ছেন। শিশু প্রহর উদ্ভোদনের পর থেকেই শুরু হয় সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, ইকরি ও টুকটুকিদের নাচ। সিসিমপুরের সরাসরি এই চরিত্র দেখে উচ্ছ্বসিত শিশুরা।অভিভাবকরা বাচ্চাদের নিয়ে বইয়ের স্টলে স্টলে ঘুরছেন। বাচ্চাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বইয়ের সঙ্গে। বই খুলে বাচ্চারাও বিভিন্ন বর্ণমালা ও ছড়া পড়ছে। মেলায় শিশু চত্বরে রয়েছে তাকডুম, ঘাসফড়িং, ফুলঝুরি, সিসিমপুরসহ অনেক স্টল। স্টলগুলোতে রয়েছে বাংলা বর্ণমালা, ইংরেজি বর্ণমালা, গল্প, ড্রইং, ফিকশন, রঙবেরঙের ছবিসহ অসংখ্য বই। শিশুদের সঙ্গে মুখরিত বিক্রয়কর্মীরাও।বইমেলাতে শ্রীমঙ্গল থেকে এসেছেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা দিপালি রানী দাস।

তিনি  বলেন, দুই বাচ্চাসহ অনেক দূর থেকে এসেছি গতকাল। বাচ্চাদের বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতেই বইমেলায় আসা। মেলা থেকে বাচ্চাদের পছন্দমত বই কিনেছি ৫টি। তাদেরকে ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছি।আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহিম বলেন, আম্মুর সঙ্গে মেলায় এসেছি। গতবছর আসতে পারিনি। কমপক্ষে ১০টি বই কেনার ইচ্ছা। সিসিমপুর অনেক বেশি আনন্দ দিচ্ছে। আগে টিভিতে দেখতাম, আজ সরাসরি হালুমকে দেখেছি।রাজধানীর আব্দুল্লাহ মেমোরিয়াল স্কুল থেকে এসেছেন নাফিয়া অথৈ ও সাদিয়া। তারা  বলেন, শিক্ষকরা আমাদের নিয়ে এসেছেন। দুপুরের মধ্যে আবার স্কুলে চলে যাব। গত বছর বাবা মায়ের সঙ্গে এসেছিলাম। এবছর স্কুল থেকে বন্ধুরা মিলে এসেছি খুব ভালো লাগছে।তাকধুম স্টলের বিক্রয়কর্মী ওভি বলেন, সকাল থেকে শিশুরা ছিল সিসিমপুরে। মোটামুটি বেচাকেনা হয়েছে। আশা করছি বিকেলে অনেক ভিড় হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *