স্টাফ রিপোর্টার : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের নিজাম (২৬) কে ইউনিয়ন পরিষদে Stay করে মারধর করার অভিযোগ উঠে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। গতকাল সকাল আনুমানিক ৮ টার সময় এই ঘটনা ঘটে বোরহানগোন্জ বাজার পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদে। ভুক্তভোগী নিজাম অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে বোরহানগোন্জ বাজারে আসলে মফিজ চৌকিদার আমাকে ডেকে নিয়ে আমার বাবার নাম জিজ্ঞেস করে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আটক করে রাখে। কিছুক্ষন পর আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ আসলে, আমাকে আটককৃত রুম থেকে বের করে এনে হুমায়ুন মেম্বার বলে তোর বউকে মারছ কেন, হুমায়ুন কবির মেম্বারের কাছে কি অপরাধ করেছি এই ভাবে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন জানতে চাই, এটা বলার সাথে সাথে পিছন থেকে একটি পাইপ নিয়ে আমাকে ৪-৫ টা বাড়ি দেন।এরপর চৌকিদার দিয়ে আমাকে রুমের মধ্যে আটক করে, সেই খানে গিয়েও মারধর করেন হুমায়ুন কবির মেম্বার। পরে চৌকিদার সহ স্হানীয় গন্যমান্য লোকজন রুম থেকে বের করে আনেন। আমাকে রুমের ভিতর তালাবদ্ধ করে রাখেন।
আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযোগ কারীর মা জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার ছেলে ইউনিয়ন পরিষদে আটক করে নির্মম, নির্যাতন চালায়। পরে লোক মারফত খবর জানতে পেরে আমার ছেলে নিজামকে তালাবদ্ধ রুম থাকে বের করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে আমি উল্লেখিত বিষয়টি ভোলা ২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুলকে কল করে জানাই। ওনি বলেছেন বিষয়টি দেখতেছি। এইভাবে একজন মানুষ কে কেউ মারেনা। আমার ছেলে ব্যথ্যায় রাতে বেলা ঘুমাতে পারেনি। এই এর বিচার চাই। এই বিষয় হুমায়ুন কবির চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, নিজাম তার স্ত্রীকে মারধর করেন, নিজামের স্ত্রী পরিষদে এসে অভিযোগ করেন, পরিষদে নিজামের বিচার হয়, নিজাম আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন সেইটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।