Subscribe our Channel

ভুট্টা ক্ষেতে বারি উদ্ভাবিত বীজ বপন যন্ত্রের এডাপট্রিভ ট্রায়াল অনুষ্ঠিত

 মোঃ নূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর :

 

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-প্রখ্যাত প্রজননবিদ ডঃ বিমল চন্দ্র কু-ু বলেছেন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকার প্রশংসনীয় ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়নে অল্প খরচে অল্প সময়ে অল্প সেচে যান্ত্রিক উপায়ে চাষাবাদের লক্ষ্যে সার্বজনিন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।

 

 

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বারি) কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে কৃষকদের চাষাবাদের অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ কাজ করে যাচ্ছেন। এরই আলোকে বারি উদ্ভাবিত বীজ বপন যন্ত্রের মাধ্যমে এডাপট্রিভ ট্রায়াল কৃষকের মাঠে করে চলেছে।

 

দিনাজপুর সদরে ২নং সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর শিবপুর-খোশালপুর ব্লকে বারি উদ্ভাবিত বীজ বপন যন্ত্রের এডাপট্রিভ ট্রায়াল ও ভুট্টা ক্ষেতের যন্ত্রের মাধ্যমে বীজ বোপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

 

 

কৃষি গবেষণা কেন্দ্র দিনাজপুর রাজবাড়ীর উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট এর আর্থায়নে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ শামসুল হুদা।

 

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বুড়িরহাট রংপুর বিএআরআই আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশিস কুমার সাহা, বিএআরআই আলমনগর রংপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আল-আমিন হোসেন তালুকদার, এফএমপিই বিএআরআই গাজীপুর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান, সুন্দরবন

 

 

ইউনিয়নের কালিকাপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এম.এ মতিন, বৈজ্ঞানিক সহকারী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাজবাড়ী দিনাজপুরের মোঃ আশিকুর রহমান, মোঃ লুৎফর রহমান, এফএমপিই বিভাগ মিলিং মেশিন অপারেটর চিত্তরঞ্জন ভৌমিক, মেজবাহুল ইসলাম, সিনিয়র ফিটার এফএমপিই বিভাগ বিএআরআই, গাজীপুর প্রমুখ।

 

 

 

ড. বিমল কুন্ডু বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের অর্থায়নে কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ধাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিক লাভজনক করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা করেছে। উক্ত মাঠ দিবসে কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টার বীজ বোপন করে কৃষক সমাবেশে উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়।

 

 

কৃষককুল এই প্রযুক্তি দেখে তারা তাদের স্ব স্ব মাঠে প্রয়োগ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ আশিস কুমার সাহা বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্রে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তির মাধ্যমে এতদিন চাষাবাদের গল্প আমরা শুনতাম, এখন বর্তমান সরকারের কল্যাণে ও অর্থায়নে এদেশের কৃষক কুল কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আবাদ করছে। এর ফলে অল্প সময়ে অল্প খরচে অধিক ফলন কৃষক ভাইয়েরা ঘরে তুলতে পারবেন। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আল-আমিন তালুকদার বলেন, বারো মাসে ৪টি ফসল ঘরে তুলতে হবে।

 

 

এই লক্ষ্যে কৃষকদেরকে তৈরী করা হচ্ছে। যান্ত্রিক উপায়ে কৃষককুল চাষাবাদ করে এর সুফল পাবেন। সভাপতির বক্তব্যে দিনাজপুর রাজবাড়ী কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ শামসুল হুদা বলেন, শস্য ভান্ডার খ্যাত দিনাজপুরে নানাবিদ ফসল ১২ মাসে হয়ে থাকে। ভুট্টা, গম, বাদাম, শরিশা, আলু ও অন্যান্য ফসল এবং শাকসবজি অনায়াসে উৎপাদন করে চাষি ভাইয়েরা অধিক মুনাফা করে থাকে। লাগসই কৃষি প্রযুক্তি দক্ষ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কলা-কৌশল, প্রশিক্ষন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করে আমরা কৃষকদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছি।

 

 

 

আমাদের এই প্রযুক্তিগুলো কৃষকরা গ্রহণ করে লাভবান হচ্ছে। বাংলাদেশে ভুট্টা একটি উজ্জল সম্ভাবনাময় অর্থকরি দানাদার ফসল।

 

 

দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে অধিক হারে ভুট্টার চাষাবাদ হচ্ছে। বীজ বোপন যন্ত্রের মাধ্যমে ভুট্টা চাষাবাদ করে কৃষকরা আরও অধিক লাভবান হবেন। এই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রকল্প গ্রহন করেছে এর সুফল কৃষকরা পাচ্ছেন

 

 

। উক্ত অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক কৃষক-কৃষানী স্বতঃস্ফূতভাবে অংশগ্রহন করেন এবং এই প্রযুক্তি মাঠে প্রযোগ করার ইচ্ছা পোষন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *