Subscribe our Channel

ঠাকুরগাঁওয়ে ইট- ভাটায় জ্বালানী কাঠ পুড়ছে ক্ষমতায় ভাটা মালিক সমিতি,নিরব জেলা প্রশাসন

 

 

পীরগন্জ নিউজ এক্সপ্রেস ডেস্ক:

 

 

ঠাকুরগাঁয়ে ৫টি উপজেলার ইট-ভাটা গুলোতে কাঠের স্তুপ; জ্বালানি হিসেবে জ্বলছে কাঠ। জেলা ভাটা মালিক সমিতির মৌখিক নির্দেশে ও মোটা অংকের চাঁদায় এ জেলার ইট-ভাটা গুলোতে জ্বালানি হিসেবে জ্বলছে কাঠ। সরজমিনে ঘুরে এসে দেখা গেছে ঠাকুরগাঁও জেলার ইট ভাটাগুলোতে চলতি ইট ভাটা মৌসুমে জেলার ঢোলারহাটে অবস্থিত জে এস এম ব্রিক্স এবং নীল সাগরে অবস্থিত সুপ্রিয় ব্রিক্স ব্যতিত প্রতিটি ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে খড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে খড়ি পুড়িয়ে কয়লায় পোড়ানো ইট বলে ইট ক্রেতাদের নিকট বেশি দামে ইট বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।আমাদের অনুসন্ধানী টীম জেলার বিভিন্ন ইট ভাটা পরিদর্শন কালে এ অভিযোগের সত্যত্যা পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন ইট ভাটা পরিদর্শনকালে দেখা যায় ঠাকুরগাঁও সদরের ঢোলারহাটে অবস্থিত জে এস এম ব্রিক্স এবং নীল সাগরে অবস্থিত সুপ্রিয় ব্রিক্স ব্যতিত প্রতিটি ইট ভাটায় জ্বালানী কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার আদম আমাদের প্রতিনিধির নিকট অভিযোগ করে বলেন, ইট ক্রয়ের সময় কয়লায় পোড়ানো ইট বলে আমার কাছে ইট বিক্রয় করে। ইটের কোয়ালিটি দেখে সন্দেহ হলে পরবর্তীতে ভাটায় গিয়ে দেখি খড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। বেশী দাম দিয়ে ইট কিনেও ইটের মান খুবই খারাপ। দেশে আইন বলে কিছুই নেই। এভাবে প্রতারনার শিকার হয়েও কোন প্রতিকার নেই।

 

 

 

 

 

ঠাকুরগায়ের রাস্তার পাশে কিছু সময় দাড়ালে দেখা যায় কিছুক্ষণ পর পর ট্রাক,মাহিন্দ্র,ট্রলি বোঝাই খড়ি ভাটার রাস্তাগুলোতে চলাচল করছে। এগুলো কি প্রশাসনের নজরে পড়েনা? সরকারের শ্লোগান,’’পরিবেশ বাঁচাও,গাছ বাচাও”।এভাবে যদি খড়ি পোড়ানো হয় তাহলে এই শ্লোগানের বাস্তবায়ন হবে কি করে,সচেতন জনগনের এটাই প্রশ্ন।জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় শতাধিক ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য কয়েক লাখ মন কাঠ মজুত করেছেন ভাটার মালিকেরা।

 

 

 

 

 

 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আবাসিক এলাকা গুলোতে জ্বালানী খড়ির দুর্ভিক্ষ হওয়ায় ১ শত ২০ টাকা মনের খড়ি ৩ শত টাকায় এসে দাড়িয়েছে। এ অবস্থা আর কিছুদিন চলতে থাকলে এ জেলার আবাসিক এলাকায় জ্বালানী খড়ির চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে খড়ি আনতে হবে বলে জ্বালানী বিশেষজ্ঞ গন জানিয়েছেন। এ বিষয়টি জেলা প্রশাসনের আইনগত পদক্ষেপ অনতিবিলম্বে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সচেতন জেলাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *