
মোঃ তোতা মিয়া বিভাগের ব্যুরো প্রধান রংপুর: পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের মোলানীপাড়া এলাকার মৃত বাদল হোসেনের স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যসহ নানান রোগে ভুগছেন বুলবুলি। হাঁটা চলাও করতে পারেন না। হারিয়ে ফেলেছেন বাকশক্তি। এ অবস্থায় তিনি পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ছেলে-বউ আর নাতি নাতনিরা দালান ঘরে থাকলেও বৃদ্ধার রাত কাটাতে হয় ভাঙা ঘরে। যেখানে নেই ভালো একটি চৌকি, এমনকি মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে মশারীও। ছেলে রেজাউল ইসলাম পেশায় কাঠমিস্ত্রি। জীবিকার তাগিদে ছেলে দিনভর বাইরে থাকলে শয্যাশায়ী এই বৃদ্ধার খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই।
সম্প্রতি বৃদ্ধা বুলবুলির মানবেতর এই জীবন কাহিনি তুলে ধরা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। স্ট্যাটাসটি নজরে আসে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেনের। তিনি প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন বৃদ্ধার।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি একটি কমোড চেয়ারসহ বেডশীট, তোষক, মশারী, বালতি, মগ, বদনা, স্যাভলন, হুইল পাউডার ও সাবান নিয়ে হাজির হন বৃদ্ধার বাড়িতে। একই সাথে বৃদ্ধার দেখভালের জন্য স্থানীয় সমিলা বেগমকে দায়িত্ব দেন তিনি। বিনিময়ে সমিলা বেগমকে আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফ হোসেন। এর আগে বৃদ্ধার ছেলে রেজাউলকে চৌকি কিনতে নগদ টাকা দেন তিনি।