Subscribe our Channel

সাবেক ডিআইজি প্রিজনস বজলুরের ৫ বছরের কারাদণ্ড

ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশীদ/ফাইল ছবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক  : তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারা অধিদফতরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়। রোববার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়।

গত ২২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় সস্ত্রীক বজলুর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিআইজিকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিনই দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।২২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।চার্জশিটে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ননিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন।তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য পরিশোধিত অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি বজলুর রশীদ।এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *