Subscribe our Channel

এন এম নুরুল ইসলাম,বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। এমনি চিন্তা নিয়ে ২০০৮ সালে প্রথম ১৫ জন প্রতিবন্ধী শিশু নিয়ে সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে আমিরুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে একটি একতা প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূনর্বাসন কেন্দ্র চালু করেন।

সমাজের মাঝে প্রতিবন্ধি শিশুদের মেধাবিকাশ করাই ছিলো তার মূল লক্ষ্য। যেটাতে তিনি হচ্ছেন সক্ষম। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তার এই প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রটিতে। বর্তমানে তার এখানে মোট ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে প্রায় ৪২৯ জন।
নানা রকমের বাধার মুখামুখি হয়েও এখনো শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে রায়পুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চুনিহাড়ি এলাকায় ২৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে এমন একটি স্কুল ও পূনর্বাসন কেন্দ্র চালু করেছেন তিনি। যেখানে রয়েছে ৩ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রায় শতশত প্রতিবন্ধী শিশু। স্বাভাবিক শিক্ষার প্রসারেই রয়েছে নানা প্রতিকূলতা। তবু থেমে নেই প্রচেষ্টা। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার জন্য প্রত্যন্ত এ এলাকাতে গড়ে উঠেছে এই স্কুলটি।
স্কুলটির সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের আশপাশের ৩ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী শিশুরা এই পূনর্বাসন কেন্দ্রে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। স্কুলে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪২৯ জন শিক্ষক সংখ্যা ২৫ জন।
করোনা কালীন সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশে বন্ধ থাকলেও স্কুলটির পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রায় ৫০ জন এতিম,প্রতিবন্ধী ছাত্রকে হিফয খানায় কুরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন যোগ্য হাফেজ গণের মাধ্যমে। এছাড়াও আজ সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সমাজের বিভিন্ন প্রতিবন্ধীদের মাঝে থেরাপি প্রদান করেন ঠাকুরগাঁও প্রতিবন্ধী সেবা ও সহায়তা কেন্দ্রের কর্মরত ডাক্তার আল মানসুর।তিনি বলেন আমরা প্রতিবন্ধীদের কে বিনামূল্যে থেরাপি সহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকি।তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা একতা প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে থেরাপি সেবা দিচ্ছি।
তাদের যাতাযাতের সুবিধার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের পরিচালক নিজ উদ্যোগে দুটি পিকআপ গাড়ি কিনে প্রতিবন্ধী শিশুদের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া আসা করে। পরিচালক নিজ উদ্যোগে সম্প্রতি প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার জন্য একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছে। থেমে নেই আমিনুল চেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
একতা প্রতিবন্ধী স্কুলের পরিচালক যিনি তার শ্রম দিয়ে তার নিজ চেষ্টায় এখনো ধরে রয়েছেন প্রতিবন্ধীদের স্বপ্ন পূরের লক্ষ্যে তার চেষ্টা। যার নাম আমিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ-হাসিনা প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে নীরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
তাই আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, আমাদের এই একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুণর্বাসন কেন্দ্রটিকে সরকার এমপিওভূক্ত করে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিবন্ধী শিশুদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। আর সহযোগিতা পেলে এই একতা প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূণর্বাসন কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *