Saturday, 15 March 2025, 3:28:25 am

Subscribe our Channel

মহামারি করোনার গ্রাসে সাংসারিক অভাব অনাটনে তরুণী ক্লান্ত হাবিবা কিডনি বিক্রি করতে চায়!

বিশেষ প্রতিবেদক :

 

হাবিবা আক্তার বয়স ১৯ পরিবারের বড় মেয়ে, এইচ এস এস শেষ করে কুমিল্লা কমার্স কলেজে ভর্তির অপেক্ষার প্রহর গুনছে,তবে টাক অভাবে এখনো ভর্তি হতে পারেনি। জন্মসূএে বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার বারপাড়া গ্রামে তবে সেখানেও তাদের থাকার মত জায়গা নাই। তাই কুমিল্লা (কুচাইতলী)মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে পূর্বপাড়া (জিলানী মাষ্টার বাড়ি) বাড়িতে ভাড়া থাকে। জানা যায় হাবিবা সহ ছোট ২বোন ১ ভাই তারাও লেখাপড়া করে। বাবা মা সহ ৫জনের সংসার তাদের।

 

 

 

 

বাবা হাতেম মিয়া পেশায় বার্নিশ মিস্ত্রি। করোনার লকডাউনে বেকার তিনি। মাঝে মাঝে টুকটাক কাজ করে যা পায় তা দিয়ে খাবার কেনাও হয় না দু বেলার। এদিকে হাবিবার মায়ের ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যও কোনো টাকা নেই। ওদিকে বাড়িভাড়া বাকি কয়েক মাসের, বাড়িওয়ালা চাপ দিচ্ছে ভাড়ার জন্য নয়তো বেড়িয়ে যেতে হবে বাড়ি থেকে ।

 

 

 

পরিবারের বড় মেয়ে অসহায় হাবিবা পৃথিবী নামক যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন নামের যন্ত্রণা কতটা ভয়ংকর তা উপলব্ধি করছে হারে হারে। মায়ের ঔষধ কেনার টাকা নেই ঘরে খাবার সংকট দোকানদার বাকী দেয়না টিউশনি নেই, নেই লকডাউনে ইনকামের কোন রাস্তাও।

 

 

 

আর তাই নিরুপায় কন্যা হাবিবা মায়ের চিকিৎসা, ঘরের খোরাক, বাসা ভাড়া এসবের জন্য তার একটি কিডনী বিক্রি করতে চায়। সামর্থ্য থাকুক বা না থাকুক চিকিৎসার অভাবে মায়ের মৃত্যু ছোট ভাই বোনের অনাহারে থাকা সহ্য করতে পারছে না সে। ফোনে কথা বলার সময় নিজের পরিবারে দৈন্য-দশার কথাগুলো বললো কাঁদো কাঁদো সুরে। ভাড়া বাড়িতে গিয়ে একবার তার পরিবারটিকে দেখে আসার কথাও জানালো। আহা জীবন!!

 

 

 

তার জায়গায় একবার নিজেকে ভাবলাম, মাাথাটা কাজ করছিলো না। নিয়তি কতটা কঠিন, এই ১৯ বছর বয়সে একটি কন্যা যেন পৃথিবীর সবটুকু নির্মমতার সাথে লড়াই করে ক্লান্ত। শিক্ষিত আত্মসম্মানী হাবিবা ভিক্ষা চায় না, চায় না করুনা আর তাই নিজের একটা কিডনির বিনিময়ে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকতে চায়। লেখাপড়া শেষ করে একটা চাকরি করতে চায় পরিবারের জন্য তাদের বাঁচানোর জন্য। (আর হা দয়াকরে অপ্রয়োজনে অসহায় মেয়েটির ফোনে কল করে বিরক্ত না করার জন্য বিনীত অনুরোধ রইলো) উম্মে হাবিবা ( বিকাশ- ০১৭৮৭২৫৯৩১৫)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *