
রবিউল হোসাইন সবুজ, লাকসাম(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার লাকসাম পৌরশহর ও উপজেলার সর্বত্র করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগে এ অঞ্চলের সাধারন মানুষের আস্থা বাড়াতে নানাহ কৌশলের উদ্যোগ নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা প্রশাসনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
১লা জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সরকারের এ বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে।স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় দু’সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের মধ্যদিয়ে পার করছে এ কয়টা দিন এ অঞ্চলের মানুষ।
এমনিতো আষাঢ় মাসের অবিরাম বৃষ্টি তার উপর সরকারের ২১ দফা নির্দেশনায় লক ডাউনের কবলে পড়ে এলাকার হতদরিদ্র দিনমজুররা অনেকটাই বেকায়দায় পড়েছে। ফলে লাকসামে করোনায় আক্রান্তের হার বাড়লেও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা কিংবা নির্দেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছে না মানুষ। এ উপজেলায় প্রথম দফায় ৩১ হাজার ৬’শ১০ করোনা ভ্যাকসিন ডোজ এসেছে যা এলাকার জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক সূত্র জানায়,প্রথম দফায় ওই করোনা ভ্যাকসিন ডোজ এ উপজেলায় আসলে সরকারি হাসপাতাল ইনচার্জ ডাঃ নাজিয়া বিনতে আলম এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের রেজিষ্ট্রেশন করতে আহবান জানিয়েছিলেন। ১ম দফায় ১৭ হাজার ৩’শ২৯ ডোজ ও ২য় দফায় ১৩ হাজার ২’শ৩৩ ডোজ নিতে রেজিঃ করেছেন মানুষ। ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ৯’শ২টি। মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমনে আক্রান্ত সনাক্ত করা হয়েছে ৮’শ৪৪ জন।
এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জন ও সুস্থ্য হয়েছে ৬’শ৭৩ জন। পারিবারিক পর্যায়ে আইসোলেশনে রয়েছে ১’শ৫৮ জন এবং সরকারী হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি আছেন ৭ জন। পৌরশহর এলাকার চাইতে গ্রামাঞ্চলে মাক্স ব্যবহার না করার প্রবনতা অনেকইটা বেশি। দেশজুড়ে বহু প্রতিক্ষিত করোনা ভাইরাস টিকাদান কর্মসুচী ১লা জুলাই থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে শুরু হলেও এ অঞ্চলে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে অনীহাভাব প্রকাশ পাচ্ছে। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসক বোর্ডর একাধিক সদস্য জানায়, বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ হাজার ৫০ থেকে ৩’শ প্রকারেরও বেশি মারাত্মক ও ভয়ংকর রোগ রয়েছে ।
মহামারী করোনার ভ্যাকসিন আমাদের দেশে নিজের প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদন করতে পারি এবং নিজ দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করে আমরা সারা দুনিয়া দখলে নিতে পারি কারন আমরা বীরের জাতি সে প্রত্যাশায় দেশের ১৮ কোটি মানুষের। অপরদিকে মহামারী করোনার প্রকোপে আতংকে এ এলাকার মানুষগুলো।
তারপর স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়মনীতি উপেক্ষা করোনাকালে সুষ্ঠ্য নীতিমালা ও সম উপযোগী নানান আইন-কানুন না মেনেই চলছে এ এলাকার প্রায় ৪০/৪৫টি বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ক্লিনিক। এ ব্যাপারে জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও বর্তমান করোনা ভাইরাসের সার্বিক অবস্থা ও ভ্যাকসিন প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।