পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকে পাথর উত্তোলন নিষেধ করা শর্তেও থেমে নেই পাথর খেকোদের পাথর উত্তোলন কর্মকাণ্ড । পাথর উত্তোলনের জন্য নদীর পাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে গভীর গর্ত। ওই গর্ত থেকে অবৈধ ভাবে পাথর মজুদ করে বিক্রি করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। দেখা গেছে নদীর গভীরে পাথর এর সন্ধাধান পেলে নদীর পাড় কেটে এবং নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির স্রোত আটকিয়ে নদীর দুপারের ফসলি জমির বুক চিরে উত্তোলন করেই যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার পাথর। এতে করে সমতল ভূমির প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে আর নদী হারাচ্ছে তার নাব্যতা। ডাহুক নদীর পাড় ঘেষা অসহায় কৃষকরা বলছেন এই নদীতে আমরা বোরো ধান চাষ করে ছয় মাসের খাবার যোগাড় করতাম কিন্তু প্রভাবশালী পাথর খেকোরা শ্রমিকের নাম ভাঙ্গিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার কারণে আমরা ভালোভাবে নদীতে আর বোরো ধান চাষ করতে পারছি না। নদীর পাড়ের কৃষকদের দাবি আমাদেরকে নদীতে বোর ধান চাষ করতে দেয়া হোক। এছাড়াও সরে জমিনে ঘুরে দেখা গেছে পঞ্চগড়ের ছোট বড় প্রায় নদীতে পাথর উত্তলনের মহা উৎসব। স্থানীয় শুশীল সমাজের মানুষেরা বলছেন পঞ্চগড় জেলায় যেভাবে নদী এবং নদীর পাড় কেটে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে এরকম কর্মকাণ্ড অন্য কোন জেলায় নেই।
এরা শ্রমিকের দোহাই দিয়ে এক সরকারি সম্পত্তি লুটপাট করছে। কেননা পঞ্চগড়ে যেমন শ্রমিক আছে অন্য জেলাগুলোতেও কিন্তু শ্রমিক আছে তাই বলে অন্যান্য জেলার শ্রমিকরা কি নদী থেকে পাথর উত্তলনের জন্য এভাবে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই আমাদের নদী সুন্দর থাক এবং ফিরে পাক নদীর যৌবন ও নাব্যতা। এছাড়াও অনুসন্ধানে দেখা গেছে পঞ্চগড় ধাক্কামারা আমতলা থেকে শুরু করে ময়নাগুড়ি পর্যন্ত ভারত থেকে বয়ে আশা নদী থেকে কোনো বৈধ ইজারা নেই, উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর বালু। এতে করে বাংলাদেশ সীমান্তের কোটি টাকা ব্যয়ের বেরিবাদ ভেঙ্গে পড়ছে নদীর গভীরে। স্থানীয়রা বলছেন বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দলীয় ছত্রছায়ায় এসব কর্মকাণ্ড করে চলেছে একশ্রেণীর মানুষ। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেও কিছুতেই বন্ধ করা সম্ভব হয় নাই এসব অবৈধ পাথর বালু উত্তোলন। বর্তমান পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন এর কাছে দাবি এসব অবৈধ পাথর বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেননা এভাবে পাথর উত্তোলন করার কারণে অনেকের জমি ভেঙ্গ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।