
নিজস্ব প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অভিযোগের পরেও আবাসিক এলাকায় রবি টাওয়ার নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সনকা গ্রামের বসবাসকারী বাদশার ছেলে সুজন আলী অভিযোগ করে জানান, তাদের বসতবাড়ী ও জমি সংলগ্ন স্থানে বিপদ জনক হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেশী স্বার্থানেশী জমসেদ আলীর পুত্র তালেব আলীর সাথে মোটা অংকের চুক্তিতে তাদের জমিতে রবি মোবাইল কোম্পানি একটি মরনঘাতি টাওয়ার স্থাপনের লক্ষ্যে নির্মান কাজ শুরু করেছে।
সুজন আলীর দাবী এ সমস্ত মোবাইল টাওয়ার আবাসিক এলাকায় স্থাপন করা সম্পূর্ন বেআইনী, নিয়ম বহির্ভূত,অপরাধ। ইতোমধ্যে মহামান্য আদালত যে সমস্ত আবাসিক এলাকা ও বাসাবাড়ির ছাদে মোবাইল টাওয়ার রয়েছে সেগুলো অবিলম্বে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সেখানে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরেও তথা লিখিত অভিযোগ দিলেও রবি মোবাইল কোম্পানি কোনকিছু তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সুজন জানায়, আমি এ ব্যাপারে গত ৭ আগষ্ট’২০২১ ইং বিটিআরসিতে অভিযোগ করেছি, যার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-০৮২০১০৭০১৯৯৮৩। সু
জন এবং এলাকাবাসী মনে করেন, এখানে এই টাওয়ার বসানো হলে এবং অতিমাত্রা রেডিয়েশন নির্গমনে জনগন নানা রোগ যেমন, মাথা ব্যথা, স্মৃতিভ্রম, নিদ্রাহীনতা, ব্রেনটিউমার, ক্যান্সার, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়া সহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মরতে পারে এবং এটি বিশেষজ্ঞদেরও ধারনা। তাই অবিলম্বে জনস্বার্থে গণদাবীর প্রতি আন্তরিক হয়ে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন রবি মোবাইল টাওয়ারের কাজ চিরতরে বন্ধ করে ফাকা জায়গায় সরিয়ে নেয়ার দাবী করা হয়েছে। একই ঘটনায় সুজন আলী বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সভাপতি/সম্পাদক, বীরগঞ্জ প্রেসক্লাব, বীরগঞ্জ দিনাজপুর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় নির্মাণ কাজ চলছে, রবি কোম্পানির কেউ সেখানে নেই, তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বেলাল হোসেন জানান, তারা কোন অনিয়ম করছেন না, প্রচলিত নিয়মে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কাজ করা হচ্ছে।
জমিদাতা তালেব আলী ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, কার কি সমস্যা হলো সেটি দেখার সময় নাই, আমাদের খুশি, আমাদের জমিতে আমাদের যা ইচ্ছা তাই করব, কার কি করার আছে করুক। স্থানীয় বসবাসকারী গ্রামবাসীদের সাথে কথা হলে তারা সুজনের অভিযোগের সাথে ঐক্যমত প্রশন করে বলেন, রবি কোম্পানি গায়ের জোর দেখাচ্ছে, আবাসিক এলাকার অনতি দূরে সনকা বাজারের আশেপাশে অনেক ফাকা জায়গা রয়েছে, তারা ঐসব জমি মালিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারতেন। তা না করে বেআইনি ভাবে আবাসিক এলাকায় বসাচ্ছে, যা আমাদের মৃত্যুর কারন হয়ে দাড়াবে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদেরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কেউ নিয়মের বাহিরে কাজ করলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। অভিযোগ পেয়েছি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিটিআরসির জেলা অফিসে প্রেরণ করেছি।