
মোঃ তোতা মিয়া বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান :
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমাদের ছোট নদী, কবিতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে ফুটে উঠেছে পঞ্চগড় করতোয়া শাখা উক্তর থেকে বয়ে আশা এই করতোয়া নদী। বৈশাখ মাসে এ নদীর কোথাও শুকিয়ে গেছে, কোথাও রয়েছে হাঁটু জল।প্রবিণরা জানান, পঞ্চগড়ের শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলা যমুনা নদীতে গিয়ে মিলেছে এক সময় পাল তোলা নৌকাও চলতো। নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের আশাও ছিলো অনেকের। এখন কালের আর্বতে এই নদী অপেক্ষাকৃত ভরাট ও সরু হয়ে পরেছে।
বর্ষার পানিতে দু’কুল ভরে উঠলেও খরা মৌসুমে তা শুকিয়ে যায়।আর বৈশাখ মাসে এ নদী যেন হয়ে ওঠে কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমাদের ছোট নদী’ কবিতার মতো।হাঁটু পানি ডিঙ্গিয়ে নদী পারাপার হতে দেখলে মনে জাগ্রত হয়ে ওঠে, ১৯ ৮০ সনের কথা ইতিহাস বলে এই নদীতে ৬০ কেজি ওজনের বোয়াল মাছও ধরেছিলেন জেলেরা, নিদীতে ভাসতে দেখাজেতো আইরমাছ, বোয়ালমাছ, গোজারমাছ, রুইমাছ, কাতলমাছ, ভাংনামাছ, রাইচেংমাছ,টোনামাছ, সহ বিভিন্ন প্রকার মাছ।
এখন এসব সুধুই কল্পনা, জেলে মামারা এই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন আর নেই সেই দিন, তাই এখন মনে জাগ্রত হয়ে ওঠে, কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কবিতার কথা, আমাদের ছোট নদী চলে বাকেঁ বাকেঁ, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে, পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি দুই ধার উচুতার ঢালু তার পাড়ি, চিকিমিকি করে বালি কোথাও নেই কাঁদা ধারে ধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিরমিচির করে সেথায় শালিকের ঝাঁক সন্ধ্যা হলে সোনা যায় শিয়ালের হাঁক। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা নায়েতারা নামে গামছায় জল ভরে গায়তারা ঢালে।রাখাল বাজায় বাঁশি দুপুরের বেলা, চাষি ভাই মাছ ধরে এই তার খেলা।