Subscribe our Channel

বীরগঞ্জ পৌরসভার তত্ত্বাবধানে চলছে কলা বেচা-কেনার পাইকারী বাজার

মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি:

 

 

বীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশারফ হোসেন বাবুলের পরিকল্পনায় এবং ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় বীরগঞ্জ হাটে মহাসড়কের পাশে কৃষিপন্য তথা কলা বাজারজাত করনে শুরু হয়েছে পাইকারী হারে কলা বেচা-কেনার বাজার। গত ১১ আগষ্ট এই কলার আড়ৎ উদ্ভোদন করা হয়েছে এবং পৌর পরিষদের তত্ত্বাবধানে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ এই কলা বাজারের দেখাশুনা। সব মিলিয়ে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলের সর্বোবৃহৎ হিসাবে গড়ে উঠেছে বীরগঞ্জের কলার বাজার কলা বাজারে আগন্তক চাষী ও ব্যাবসায়ীরা জানান, কলার বাজার জমে উঠেছে, আগামীতে আরও জমজমাট হবে।

 

 

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, বাসাবাড়ি ও আবাদি জমিতে এবছর কলা চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ১২৫ হেক্টর জমিতে। এ ব্যাপারে মেয়র মোশারফ হোসেন বাবুল, প্যানেল মেয়র মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাবিব মামুন, কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল বারিক, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ তাইজুদ্দিন এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকদের জানান, এ অঞ্চলের কলাচাষী ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি নিরসনে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

 

 

 

 

 

 

এই এলাকার কলা চাষীরা ন্যায্য মূল্যে তাদের জমিতে উৎপাদিত কলা বিক্রি করতে পারছেন। আমদানী-রফতানীর জন্য কলার বাজারটি ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক সংলগ্ন নিরাপদ স্থানে হওয়ার সুবাদে এখান থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ যে কোন জেলা-উপজেলা শহরে সহজে কলা পরিবহন সম্ভব।

 

 

 

১৬ আগস্ট সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় ঢাকাস্থ যাত্রাবাড়ীর কলা ব্যবসায়ী মনির হোসেন সহ যশোর, নারায়নগঞ্জ, ফরিদপুরের বেশ কয়েকজন ক্রেতা কলা কিনে গাড়ীলোড দিচ্ছেন। এলাকার কলাচাষী ও ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন, আকবর আলী, তাহের আলী, আব্দুস সালাম, আব্দুস সোবহান, মোঃ রুবেল ইসলাম, হাট ইজারাদার শাহজাহান আলীসহ অন্যান্যরা নতুন এই কলার বাজার গড়ে উঠায় ও পরিচালিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

 

 

 

 

তারা অন্যান্য কলা বাজারের তুলনায় বীরগঞ্জহাট কলাবাজারকে অনেক নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন। এছাড়া কলা বাজার সংলগ্ন রয়েছে বর্নালী আবাসিক হোটেল সহ বেশ কয়েকটি অ ত্যাধুনিক আবাসিক ও সুস্বাদু খাবারের হোটেল, পর্যাপ্ত ব্যাংকিং সুবিধা ও ট্রাক বন্দোবস্তকারী দুইটি অফিস ।

 

 

 

 

তিনি আরো জানান, বীরগঞ্জ পৌরসভা হাটে কলার বাজার শুরু হওয়াতে এই অঞ্চলের কৃষকের লাভবান হবে। কারণ আগে কৃষকেরা তাঁদের কলা নিয়ে দূর-দূরান্তে গিয়ে কলা বিক্রি করে আর্থিকভাবে অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ।

 

 

 

তবে এখন সেখানকার স্থানীয় কলার হাট গড়ে উঠায় কলার বিক্রি করে অনেকটা লাভবান হচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *