
তোতা মিয়া : পঞ্চগড় থেকে কৃষকদের একবেলা নাস্তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। পঞ্চগড়ে ১৯৭৫ সালের দিকে প্রতিটি কৃষক গাভী চাষ করত। আর এই গাউনের ভাত বা গো, প্রতিদিন সকালে কৃষাণ ত্রিশণীর, শুটকির ভর্তা গুড়, বা যষ্টি মাসে কাঁঠাল খুব মজা করে খেতেন। সময়ের পরিবর্তনে গাভী চাষ প্রায় বিলুপ্তির পথে। দেখা গেছে, তখন গ্রামগঞ্জের কৃষকরা গরুর পিঠা বা খেজুরের রস বা দুধ দিয়ে পিঠা তৈরি করতেন। কিন্তু ভাবার বিষয় হলো কাউন বিলুপ্ত হওয়ার পর এখন বাজারে মাঝে মাঝে কাউন চাল দেখা যায়, দাম আকাশচুম্বী এবং প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। অনেকেই খেতে পছন্দ করেন পিঠা বা খির কিনতে। আজ ১৫ মার্চ বুধবার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে কৃষকের ছোট্ট মাঠে হাওয়ায় দুলছে গরুর পাতা। আমানী ক্যামেরা বন্ধ করে খবর নিয়ে বসেন।
আমি গরুর খামারের মালিককে তার বাড়ি থেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কত জমিতে গরু চাষ করেছেন, খামারি আকবর হোসেন একটু হেসে বলেন, এখন আমরা গরু চাষ করি না। আমার বৃদ্ধ বাবা অনেকদিন ধরেই আমাকে একটু গাভী চাষ করতে বিরক্ত করতেন, তাই অনেক কষ্টে আমি গাভীর বীজ সংগ্রহ করে আধা বিঘা জমিতে গাভী চাষ করি। তাই এবার আমার কাউন চাষ দেখে অনেকেই কাউনের বীজ চেয়েছেন। আগামীতে এ গ্রামের ডাঙ্গা এলাকায় বিগা বিগা গরুর চাষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও অনেকেই গরুর দুধ খেতে বলেছেন।