Subscribe our Channel

তেঁতুলিয়ায় ড্রেজার ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ নেতা মজিবরের হাতে আব্দুল হামিদ আহত

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলায় পূর্বপরিকল্পিত ১নং বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের শলাপরামর্শে হামিদকে ডেকে নিয়ে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ নেতা মজিবর মাষ্টারসহ তার গ্যাংরা বেধরক মারপিট করেছে আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০অক্টোবর ২০২০ শনিবার সকাল ১১:০০টায় উপজেলার ৬নং ভজনপুর ইউপিথর ভজনপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা হোটেলের সামনে উক্ত ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় হামিদকে বাজারের লোকজন রক্ষা করেন পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল পঞ্চগড়ে নিয়ে যান। এতে আহত ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্ন সহ শরীরে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামিদ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের ২য় তলার পুরুষ ওয়ার্ড ২১১এর মেঝেতে চিকিৎসাধীনে আছেন। আহত আব্দুল হামিদ উপজেলার ৭নং দেবনগড় ইউপিথর বালুবাড়ি গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল জব্বারের ছেলে।
হাসপাতাল থেকে আহত আব্দুল হামিদ জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতি, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং ভজনপুর দ্বি-মুখী উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার গদীনশীনে বসে ক্ষমতার অপব্যবহারে পূর্বপরিকল্পিত ১নং বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের শলাপরামর্শে আজ শনিবার সকাল ১১টায় বাড়ি থেকে ডেকে এনে মুক্তিযোদ্ধা হোটেলের সামনে বলেন, তুমি মিলনকে জমিটি লিখে দিচ্ছোনা কেন? তৎউত্তরে হামিদ বলেন, মিলন আমার সঙ্গে জমি নেয়ার জন্য বায়নানামা করেছে তাতে ১কোটি ৪০লক্ষ টাকার বায়নানামা হয়েছে। এতে মিলন তাকে ২লক্ষ টাকা দিয়েছে বাকি টাকা দিয়ে দিলে মিলনকে সে জমিটি দলিল করে দিবেন। এ কথা বলায় মজিবর ও তার লোকজন হামিদের পরোনের শার্ট, লুঙ্গি টেনে হিচড়ে বেধরক মারধরসহ ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, সে বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের অবৈধ জমি দখলের প্রতিবাদে মামলা করায় মজিবর আমাকে মারধর করেছে। এদিকে তেঁতুলিয়া থানার ওসিকে অভিযোগ দিতে গেলে তিনি কোন অভিযোগ নেয়নি। হামিদ আরোও জানান, পঞ্চগড় হাসপালে চিকিৎসা করতে গেলে তাকে ইনজেকশন দিয়ে কিংবা হাসপাতাল থেকে বের করিয়ে জানে মেরে লাশ গুম করবে শুনার পর সে পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কে অবগত করলে হাসপাতাল থেকে তার ভিডিও চিত্রসহ সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মজিবর রহমানকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তার মেয়ে ফোনটি রিসিভ করে জানান, আব্বু বাসায় নেই। অত:পর আরও জানতে চাইলে বলেন আব্বু হাসপাতালে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি অবগত আছেন ঘটনাস্থালে পুলিশ তদন্ত করেছেন। কোন অভিযোগ পেলে আমরা তার ব্যবস্থাা নিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *