
মোঃ তোতা মিয়া জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এ্যাডভোকেট এইচ,এম, হাবিবুর রহমান(হাবিব) এর নামে ধর্ষনের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে একজন এডভোকেট কিভাবে এসব অসৎ অসদাচরণ করতে পারে এরা তো একাত্তরের রাজাকার বাহিনী কেউ হার মানিয়েছে।
এ্যাডভোকেট হাবিব দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত জজকোর্ট,পঞ্চগড়ে কর্মরত। তিনি ধামোড় ইউনিয়নের বারাগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র।
জানা গেছে,শুক্রবার (১১সেপ্টেম্বর) আলোয়ােখোয়া ইউনিয়নের মলানি গ্রামের ১০ম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণের জন্য মির্জাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের সুশিলের বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় এলাকাবাসী হাবিবকে আটক করে।
বিষয়টি আপোষের জন্য জোড় অনুরোধ করলে মেয়ের ভবিষ্যৎ দিক বিবেচনা করে মেয়ের দাদার বাসা রাধানগর ইউনিয়নে হওয়ায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে সোর্পদ করে। মেয়ের পরিবার দরিদ্র হওয়ায় তার ভবিষ্যৎ বিষয়ে আলোচনা করলে প্রত্যাখ্যান করেন পরবর্তীতে চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাহেদ আটোয়ারী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
মেয়ের কাছ থেকে জানা যায়, মেয়ে নানা বাড়ীতে বেড়াতে গেলে সেখান থেকে তার বাবার সাথে সাক্ষাৎ করাবে বলে, হাবিব বন্ধুর বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়ের মা জানান, এ্যাডভোকেটঃ হাবিব আমার স্বামীকে সুদের উপর ১৫ হাজার টাকা দেন সে সুবাদে আমি তাকে চিনি। সে বেশ কয়েকবার আমার বাসায় আসে।
সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমার মেয়ের এ সর্বনাশ করেছে।এদিকে মেয়ের আত্বীয় স্বজন তাকে নিয়ে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন ।
এ ঘটনার পরে আটোয়ারী থানায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে যাহার নং ১০।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডা.রাজিউর রহমান রাজু বলেন, ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পেয়েছি তার পরেও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইজার উদ্দিন জানান, মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।আটককৃত আসামীকে আমরা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছি।