Subscribe our Channel

ঠাকুরগাঁওয়ে ওষুধ সংকট দোকানে দোকানে ঘুরে হয়রানির শিকার রোগীর স্বজনরা

 নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেখা দিয়েছে ওষুধ সংকট। রোগী ও স্বজনদের চাহিদামত ওষুধ না পেয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা ওষুধ সংকটের কথা শিকার করলেও প্রশাসন বলছেন দু-একটি কোম্পানির ওষুধ ছাড়া তেমন কোন সংকট নেই। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় করোনার রোগীর সংখ্যা দিন দিন হু হু করে বাড়ছে। সপ্তাহ জুড়ে করোনা রোগী সনাক্ত হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।

 

 

 

এ পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে রোগীর চাপ। রোগী চাপ বাড়তে থাকায় বাড়ছে ওষুধের চাহিদা। করোনায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী নাপা, নাপা এক্সট্রা, এইচ প্লাস, নাপা সিরাপ, জিংক টেবলেটসহ প্যারাসিটামল জাতীয় কয়েকটি কোস্পানির ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। দুর-দুরান্ত থেকে আসা রোগী ও স্বজনরা চাহিদাপ্রত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও ওষুধ না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

 

 

 

চলমান পরিস্থিতিতে নিয়মিত চাহিদার ওষুধ না পেয়ে প্রশাসনের হস্তপেক্ষ কামনা করেন রোগীর স্বজনরা। আর ব্যবসীয়রাও ওষুধ সংকটের কথা শিকার করে তাকিয়ে আছেন কোম্পানিগুলোর দিকে। রোগীর স্বজনরা জানান, করোনার সময়ে প্যারাসিটামল জাতীয় বেশকিছু ওষুধ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না।

 

 

 

এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা চাই সরকার এবিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন। তা না হলে ওষুধ সংকটে পরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরার শঙ্কা রয়েছে। চলমান সময়ে ওষুধ সংকটের কথা সীমাবন্ধতার কথা জানালেন এই প্রতিনিধি। বেক্সিমকো ওষুধ কোম্পানির জেলার সিনিয়র মেডিকেল প্রমোশন অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান কোম্পানিকে চাহিদা পত্র দিলেও ওষুধ দিতে পারছে না ।

 

 

 

 

দিলেও তা পরিমানে সামান্য। এখানে আমাদেও করণীয় কিছু নেই। আর জেলা প্রশাসন মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, ওষুধ সংকট নয় প্যারাসিটাম জাতীয় দু-একটি নামিদামি কোম্পানির ওষুধ সংকট রয়েছে। তবে প্যারাসিটামল জাতীয় অন্যান্য কোম্পনির ওষুধ দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।

 

 

 

তবে এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ঠাকুরগাঁওয়ের তথ্য মতে, জেলায় প্রায় ১৮ শ এর মধ্যে সদর পৌর এলাকায় দুই শতাধিক ওষুধের দোকান রয়েছে। আর এসব দোকানে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *