Subscribe our Channel

 বৃক্ষ শিশু রিপনের জীবনকি এভাবেই চলবে !

 

কাউসার কবির সৌরভ, নিজস্ব প্রতিবেদক  :

এমনিতে তাদের খোঁজ কেউ তেমন একটা রাখে না। তারপর আবার করোনাকালীন সময় এই মহাদুর্যোগে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বৃক্ষ মানবখ্যাত রিপন। কিভাবে কাটছে তার জীবন, করোনাকালীন সময় দেড় বছরের মধ্যে তারা কি পেয়েছে সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা? কেউ কী তার পরিবারের খোঁজ নিয়েছে এমন প্রশ্ন বৃক্ষমানব খ্যাত শিশু রিপনের পরিবারের। রিপন বলেন, আমার হাতে-পায়ে অনেক ব্যথা। আমি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না।

 

 

 

আমি সুস্থ হতে চাই। আমি সুস্থ হতে কি পারব? এভাবেই সুস্থ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে হাজারো প্রশ্ন ঠাকুরগাঁওয়ের বৃক্ষমানব শিশু রিপনের। বর্তমানে শিকড়ের মত গজিয়ে আবারো দু হাত ও পা হয়েছে আগের মতো। এই দুই হাত দিয়েই করছে রিপন যাবতীয় কাজ। প্রায় তিন বছর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে নিজ গ্রাম ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ফিরেন রিপন।

 

 

তিনটি অপারেশন করার পর কিছুটা সুস্থ হন। কিন্তু বাড়িতে এসে টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়ায় খারাপ হতে থাকে তার শরীর। বর্তমানে হাত ও পায়ের ব্যথায় কাতরাচ্ছে সে। ভ্যানচালক বাবার সামান্য উপার্জনে রিপনের ৫ সদস্যের পরিবার চলছে করোনার দূর্যোগে সেই উপার্জনে পড়েছে ভাটা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও যে আর্থিক  সহায়তা  পেয়েছে তাতে কোন শুচিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি তার ।

 

 

 

রিপনের বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, করোনা দূর্যোগে নিদারুন কষ্টে আছে রিপনের পরিবার। জীবনের সাথে যুদ্ধ করাই রিপনের পরিবার কেন সরকারি সহায়তা পেল না তা স্পষ্ট নয়।

 

 

 

এসব প্রশ্নের উত্তর যাদের কাছে তাদের বাখ্যাও অস্পষ্ট, স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন জাগে বৈশিক এই দুর্যোগে সরকারের দেয়া প্রকল্প ও অর্থ সহায়তা যাচ্ছে কোথায়। এ বিষয়ে রিপনের ভ্যান চালক বাবা মহেন্দ্রনাথ বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে আমার ছেলের চিকিৎসা হতো।

 

 

 

এ ব্যাপারে ৮ নং দৌলতপুর  চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যতদূর পেরেছি সহযোগিতা করেছি। বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *