Subscribe our Channel

‘মন্ত্রীর বচন অমৃতসম ’
ফাইল ছবি :
আলম রায়হান নিজস্ব প্রতিবেদক : 
ইমাম বিমান মন্ত্রী বচন অমৃতসম বলে মনে করেছেন বরিশালের অন্যতম পত্রিকা দৈনিক দখিনের সময় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আলম রায়হান।
গত১৭মে সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনার সাথে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি কতৃক হেনস্থতার শিকারের হলে সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেল স্বপন মিডয়িার কাছে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন সেটাকে “ মন্ত্রী বচন অমৃতসম “ আক্ষায়িত করেন আলম রায়হান। এ বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার ব্যক্তিগত প্রফাইলে দেয়া ষ্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো । মন্ত্রী বচন অমৃতসম! স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেল স্বপন বলেছেন, সাংবাদিক রোজিনা অতিরিক্ত সচিবকে থাপ্পর ও খাঁমচি দিয়েছেন। এই গুণধর মন্ত্রীর পিতা কর্নেল মালেক জেনারেল এরশাদ সরকারে আমলে ঢাকার মেয়র ছিলেন।
তখন মশার উপদ্রপে অতিষ্ট ছিলেন নগড়বাসী ।এ অবস্থায় মশামারার পরামর্শ  দিয়ে মেয়র মালেক তখন বলেছিলেন, একসের মশা মারলে একশত টাকা দেয়া হবে ।   এরশাদ সরকার আমলের মেয়রের সন্তান আজকের সরকারের মন্ত্রী জাহিদ মালেন স্বপন যদি বলে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সচিবালয়ে বসে অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুণ্নেছাকে থাপ্পর ও খামচি দিয়েছে, তা হলে বলতেই হবে ‘মন্ত্রীর বচন অমৃতসম।’ কিন্তু বা্স্তবতা ভিন্ন। মঙ্গলবার(১৭মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
তিনি বলেন, বাসায় আসার ঘণ্টা দুয়েক ঘন্টা পরে আমার কাছে খবর আসলো, যে একটা এক্সিসিডেন্ট ওখানে হয়েছে। আমি যতটুকু শুনেছি সেটাই বলি, ওখানে সচিব সাহেবের পাশে যে রুম আছে সে রুমে ফাইল রাখা আছে। সচিব বা তার পিএসরা মিটিংয়ে ছিল রুমে ছিলেন না, রুম খালি ছিল।
বেশ কথা! প্রশ্ন হচ্ছে, যে রুমে অতি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র থাকে সেই রুম কি খালি থাকার কোন কারণ আছে? তা হলে খালি কেন ছিলো ? আর মন্ত্রী তো বিষয়টি জেনেছেন দুই ঘন্টা পর। তা হলে তিনি কীভাবে জানলেন, কে কাকে খামচি ও থাপ্পর মেরেছে।
আর সাধারণ জ্ঞানে কী বলে ? সচিবালয়ে কক্ষে একজন অতিরিক্ত সচিবকে একজস সাংবাদিক থাপ্পর মারার সাহস রাখে ? এ কি সম্ভব! স্মরণ করা যেতে পারে, ডাকসুর এক সময়কার জনপ্রিয় ভিপি, সেই সময়ের প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান সচিবালযের একজন লিফট ম্যানের সঙ্গে অসৌজন আচরণ করার খেসারত দিকে হয়েছে পুরো বিএনপি সরকারকে।
সচিবালয় এতোই সেনিসিটিভ এলাকা। আর সেখানে একজন সাংবাদিক একজন অতিরিক্ত সচিবকে থাপ্পর মারবে! মন্ত্রী এ কথা কীভাবে বিশ্বাস করলেন ? যে বললো সেই বা কিভাবে বললো ? এ রকম কথা পেশাদার গঞ্জিকাসেবীরাও বলে কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। ধরেযান মন্ত্রী অন্যের কাছে শুনেই বলেছেন। হয়তো অতিরিক্ত সচিবের কাছেই শুনেছেন।
যে সুন্দর মুখ তিনি প্রায় প্রতিদিনই দেখেন, সেই মুখের কথা মন্ত্রী বিশ্বাস করতেই পারেন। কিন্তু তিনি কি ছবি দেখেননি ? নাকি নিজের চোখে দেখা ছবির চেয়ে সুন্দর মুখের কথা বেশি নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছে। সে তো হতেই পারে কারণ সুন্দর মুখের জয়জয়কাা সর্ববত্র। এ বিষয়ে একটি গান তো আছে , ‘যদি সুন্দর একটা মুখ পইতাম…।
অতএব যে যাই বলুক, মধ্যবয়সী স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুন্দর মুখের কথা বিশ্বাস করে গঞ্জিকাসেবীকেও ছাড়িয়ে গেছেন বলে আমি তাকে কোন দোষ দেব না। কিন্তু আমি অধম দোষ না দিলেই তো দেশবাসী তা মেনেনেবে না। মানুষ যা বলছে, তা কিন্তু শোনার মতো না। এ আবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উচিত, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে পৈত্রিক থাই এলোমিনিয়াম ব্যবসায় ফিরে যাওয়া।
তাতে দেশের অনেক উপকার হবে, উপকার হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনারও। মনে রাখা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধুর কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে, আর বঙ্গবন্ধু কন্যারে কারণে আজ ও আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
এ বিষয় জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আলম রায়হান জানান, সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্থার ব্যপারে আমার পাঠক বন্ধুরা আমাকে লেখার জন্য অনুরোধ জানান, আর তাদের অনুরোধ এবং একজন সাংবাদিককে হেনস্থা করা আর দেশের সকল সাংবাদিককে হেনস্থা করা বলে মনে করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *