Subscribe our Channel

পঞ্চগড়ে দেড় লক্ষ টাকার কালভার্ট একমাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে পরল

মোঃ তোতা মিয়া রংপুর বিভাগীয় প্রধান :
পঞ্চগড়ে কালভার্ট তৈরির (এক) মাস যেতে না যেতেই ভেংঙ্গে এলাকাবাসী চলাচলে চরম ভোগান্তিতে। পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১নং অমরখানা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড়কামাত গ্রামে, এজিএসপি-৩ প্রযেক্টের ১,৫০০০০/=(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার একটি কালবার্ট তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া গেছে।উল্লেখ্য গতকাল ১১/১০/২০ইং  একটি ছয়চাকা ট্রাক ইট সহ উক্ত কালভার্টে সামনের চাকা উঠামাত্রই ভেংঙ্গে পরে যায়, তখনি বেড়িয়ে আসে আসল তথ্য।

জানা যায় উক্ত কালভার্ট তৈরির ঠিকাদার নিজে কালভার্ট তৈরি না করে উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফজলুল হককে কালভার্ট তৈরির দায়িত্ব দেন, এবং ইউপি সদস্য মোঃ ফজলুল হক ও তার বোনের ছেলে (ভাগিনা) কে নিয়ে কোন ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াই নাম মাত্র নিম্নমানের রড , বালি, পাথর সিমেন্ট দিয়েই কালভার্ড তৈরি করেন সরজমিনে ও স্থানিয়দের সাথে কথা বলে তার সত্যতা পাওয়া যায়।
এ নিয়ে স্থানিয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে । এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়দের  মধ্যে জনাব মোঃ আব্দুল বারেক, মোঃ হাবিবুর, মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, কোন ঠিকাদার কাজ পেয়েছে জানিনা, তবে আমরা এই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও তার ভাগনাকে দেখি কাজ করাতে তিনারা আরো বলেন ঠিকাদার নিজে কাজ না করে অন্যদের দিয়ে কাজ করানোর জন্যই এই সমস্যা হয়েছে, কেন তিনি অন্যদের দিয়ে কাজ করিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার । এসব দুর্নীতির বাজদের জন্যই আমাদের সরকারের বদনাম হচ্ছে। সঠিক তদন্ত করে এদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এই কালভার্ট নির্মাণে কোন নিয়ম মানা হয় নি। হাত দিয়ে টানলেই ঢালাই খসে আসে।বালু,পাথর,রড, সিমেন্ট কোনটাই সঠিক পরিমানে ব্যবহার হয়নি।

ইউপি সদস্য খুব প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না বলেও তারা জানান।
এলাকাবাসী উক্ত কালভার্টটি আবার ভেংঙ্গে পুনঃনির্মাণ সহ সংশ্রিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তাক্ষেপ কামনা করেন এবং জরিতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবী জানানএ বিষয়ে ১ নং অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুজ্জামান নুরু এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সময় না দিয়ে এড়িয়ে চলে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *