Subscribe our Channel

বারো বছর আজান দিলে যে ফজিলত লাভ হয়

ইসলাম  ডেস্ক : আজান মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান জানানোর ইসলামি পদ্ধতি। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য পাঁচবার মসজিদ থেকে আজান দেওয়া হয়। এ ছাড়া সফরে বের হলে, মসজিদ নেই এমন কোনো জায়গায় নামাজ পড়লেও আজান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন নামাজের সময় হয়, তোমাদের কেউ যেন আজান দেয় তোমাদের বয়োজ্যষ্ঠ ব্যক্তি যেন ইমামতি করে। (সুনানে আবু দাউদ)পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নাতে মুআক্কাদা কেফায়া। অর্থাৎ কোনো মহল্লার মসজিদে আজান না হলে বা কেউ আজান না দিলে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। মসজিদ ছাড়া বাড়িতে বা অন্য কোথাও একাকী বা জামাতে নামাজ পড়লে আজান দেওয়া মুস্তাহাব । আজান দেওয়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। মুআজ্জিন আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী।

বিভিন্ন হাদিসে আজান দেওয়ার প্রভূত ফজিলত ও সওয়াব বর্ণিত হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুয়াজ্জিনের আজান ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হয় এবং প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব বস্তু তাকে সত্যায়ন করে । (মুসনাদে আহমদ) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সা’সাআহ (রহ.) বলেন, একদিন আবু সাইদ খুদরি (রা.) তাকে বললেন, তুমি তো ছাগল ও মরুভূমি ভালবাসো । তুমি যখন তোমার ছাগল চরানোর কাজে বা মরুভূমিতে থাকবে আর নামাজের জন্য আজান দেবে, তখন উচ্চৈস্বরে আজান দিয়ো । কারণ মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যতদূর পর্যন্ত মানুষ, জিন ও অন্যান্য বস্তু শুনতে পাবে, কেয়ামতের দিন তারা তার জন্য সাক্ষ্য দেবে । আমি এটা আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে শুনেছি। (সহিহ বুখারি) আরেকটি হাদিসে বারো বছর আজান দেওয়ার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে । আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি বারো বছর আজান দেয়, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। আর প্রতি দিনের আজানের বিনিময়ে তার জন্য ষাট নেকি এবং প্রতি ইকামতের জন্য ত্রিশ নেকি লেখা হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ)আল্লাহু আকবার অর্থ আল্লাহ মহান, আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার-রাসুলুল্লাহ অর্থ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, হাইয়া আলাস সালাহ অর্থ নামাজের জন্য আসো, হাইয়া আলাল ফালাহ অর্থ কল্যাণের জন্য আসো,  আল্লাহু আকবার অর্থা আল্লাহ মহান, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থ আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই । ফজরের নামাজের আজানে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার পর বলা হয় ‘আস  সালাতু খায়রুম মিনান নাওম’ অর্থ ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *