Subscribe our Channel

বীরগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ীর দৌরাত্মে নিঃশ্ব গৌরচরণ রায় ন্যায় বিচারের আশায় বিচারকের দ্বারে দ্বারে

মো.তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) নিজস্ব প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের সাতখামার নাগরী-সাগরী গ্রামের মৃত: ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের পুত্র গৌরচরণ রায়(৭০) অভিযোগে জানান, মোহনপুর ইউপির লাটেরহাট বড় ভগিরপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে এলাকার চিহ্নিত দাদন ব্যবসায়ী (সুদারু) মোস্তফা কামাল (৪৫) এর নিকট হইতে মতিফুলের মাধ্যমে গত ১/১১/২০১৮ ইং তারিখ নিঃর্শতে ১ লাখ টাকা কর্জ নেন বৃদ্ধ গৌরচরণ রায়। হঠাৎ ৩০/১/২০১৯ ইং তারিখ নাগরগঞ্জ বাজারে এসে গত ২ মাসের ব্যবধানে আসল ও সুদসমেত ৪ লাখ টাকা দাবী করে এবং তা পরিশোধে অপারগতা প্রকাশে অসহায় গৌরচরণের নিকট ডকুমেন্ট লিখে চায়। পরদিন সকালে দানদ ব্যবসায়ী মোস্তাফা, মান্নান, মোকলেছুর, মতিফুল, ফজর, আফতার, আমিনুল, সাপিয়ার বে-আইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে একই অভিপ্রায়ে মতির চা দোকান থেকে বৃদ্ধকে নানা রূপে প্রতারণা -ফুসলিয়ে অটোরিকশা যোগে বীরগঞ্জ থানাধীন সাধনা হোটেলে নিয়ে গিয়ে পানের সাথে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে তাকে অসুস্থ অবস্থায় ডকুমেন্টের নামে সাক্ষর সম্পাদন ও বীরগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মোকলেছুর রহমান যার লাইসেন্স নং ২১৪ সহ কয়েকজন দালালের জোগসাজশে বৃদ্ধ গৌরচরণের নিজ নামীয় ভোগদখলীয় নাগরি-সাগরি মৌজার জে.এল নং-১১২, খতিয়ান ৪৫৮, দাগ নং ৩৮১৭ মোট ৫৫.৫০( সাড়ে পঞ্চাশ শতাংশ) একক জমি ৭৫৬ নং কবলা দলিলমূলে সাক্ষর সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার গন্যমান্যদের মধ্যস্থতায় আপোষ -মিমাংসার মজলিসে সিদ্ধান্ত হয় যে, সুদারু মোস্তাফাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করা মাত্রই বর্ণিত জমি সাব কবলা দলিল মূলে রেজিষ্ট্রি ফেরত দিবে। তারই ডকুমেন্ট হিসেবে সাবেক ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন, রশিদুল, কাদেরসহ দিনাজপুর আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়ে এ্যাডভোকেটের মাধ্যমে নোটারী পাবলিক থেকে ২০/২/২০১৯ তারিখ ৯১৭ নং রেহেন / রহিত চুক্তির ঘোষণাপত্র সহি -স্বাক্ষর সম্পাদন করা হয়। সে মতে সুদখোরকে ১২/৩/২০২০ তারিখ একই এলাকার নারায়ণ চন্দ্র ও বাচ্চু মিয়ার সম্মুখে উক্ত চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করা হয়। টাকা পরিশোধের পর হতে জমিটি রেজিষ্ট্রি ফেরত দেওয়ার দিন তারিখ চাইলে জমি রেজিষ্ট্রি ফেরত না দেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে বৃদ্ধের জৈষ্ঠ পুত্র ভবেশ চন্দ্র রায় ও ছোট ভাই শচিন চন্দ্র রায়ের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে দাবী তাগের ঘোষণাপত্র সৃষ্টি করেন ও ইউনিয়ন পরিষদের ভূয়া প্রত্যায়ন তৈরি করে ত্রিশ লাখ টাকা মূল্যের জামানত সৃষ্টি করে জমি জবরদস্তি দখলের প্রস্তুতি টের পেয়ে শচিন চন্দ্র রায় ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ বরাবর অভিযোগ করলে চতুর দাদন ব্যবসায়ী মোস্তফা ২৪/৩/২০২০ ইং তারিখের ৩৪৮৮ নং জাল -জালিয়াতি দাবী ত্যাগের ঘোষণাপত্রের ৩ ফর্দ ফটোকপি সংযুক্ত করে ডিআইজি ও অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা বরাবরে ই-মেইল যোগে লিখিত জবাব দাখিল করেন। উক্ত ভূয়া দাবী ত্যাগের ঘোষণাপত্রের কথা বীরগঞ্জ থানা সূত্রে জানতে পেরে সংখ্যালঘু পরিবারের অসহায়, নিঃস্ব, সর্বশান্ত নিরিহ সহজ সরল বৃদ্ধ গৌরচরণ এখন দিশেহারা। বর্তমানে সুদারু মোস্তফা কামালের সংঘবদ্ধ চক্রটি যেভাবে উর্গমুর্তি ধারণ করেছে যে কোন মুহূর্তে মেরে ফেলে লাশ গুম করে বৃদ্ধের পরিবারের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করাসহ উল্লেখিত জমি জবরদস্তি দখল করে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সে কারণে নালিশী দলিলটি রদ রহিত করনে ডিগ্রী প্রচারে দিনাজপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গৌরচরণ রায় বাদী হয়ে ১৮/১০/২০২০ইং সুদারু মোস্তফা কামালসহ আট জনকে আসামী করে ১৬৯ /২০২০ অন্য মোকাদ্দমা আনয়ন করে। দাদন ব্যবসায়ীর দৌরাত্মে অসহায় বৃদ্ধ গৌরচরণ তার শেষ সম্বল এই জমি রক্ষার্থে এখন বিচারকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ন্যায় বিচারের প্রার্থনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *