
মোঃ তোতা মিয়া ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
প্রচলিত কোনও মিডিয়াৱ সাংবাদিক, কিংবা গোয়েন্দা, কি পীর সাহেব সে না, তবে নাম তার ‘ মো: মারজান পীর সাহেব। পাশাপাশি পরিচয় দেন সে ১২ দেশের গোয়েন্দা, এবং জিনের বাদশা নামেও এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। এভাবে নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ বিভিন্নভাবে ১২ বছর ধরে বুক ফুলিয়ে বেড়াচ্ছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৭ নং হাড়িভাসা ইউনিয়নের মাটিয়া পাড়া এলাকায বর্তমান ঠিকানা। কিন্তু তার জন্মস্থান জায়গা কখনো বলে, বাগেরহাট, কখনো বলে খুলনা, আবার কখনো বলে থাকুরগাও রানিশংকেল। নামো ব্যবহার করে মারজান, কখনো রায়হানের মারজান, আবার কখনো মো: মারজান পীর সাহেব। একেক জায়গায় একেক নাম ব্যবহার করে সে। ভয়ংকর এই মারজানেৱ বিরুদ্ধে গ্রাম্য আদালত সহ মোট মামলা হয়েছে ৪ টি, এগুলোর বেশিরভাগই চাঁদাবাজি, অর্থ-আত্মসাৎ, প্রতারণা, হত্যার হুমকি, মামলা।
এবং নানা ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত তিনি। এবং মারজান সহ পাহাড় বাড়ি গ্রামের তোতা মিয়াকে নিয়ে গোয়েন্দা হয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি করে বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।এবং মিথ্যা নারী পাচার মামলা দেখাইয়া চাকলাহাট, কালিয়াগঞ্জ, হাড়িভাসা ইউনিয়নে এক থেকে দেড় মাস ধাওয়া করে এখনো বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদর্শন করেন। এ কারণে 8 জনের বিরুদ্ধে মোট ১১ পাতার বৈশিষ্ট্য, গণ অভিযোগ, প্রতারণামূলক তিনটি ছবি, ও প্রতারণামূলক পীর সাহেবের ভিজিটিং কার্ড সহ, বর্তমানে একটি মামলা পঞ্চগড় সদর থানায় রয়েছে। যার বাদি মোঃ বাদশা মিয়া । তাই জনসাধারণের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও তার ওপর ক্ষিপ্ত। তবে ক্ষিপ্ত থাকলেও অনেকেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে গেলে মিথ্যা মামলার শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এযাবত দুটি পরিবারকে সাতটি মামলা করেছে রায়হানে মারজান ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম। যেমন, গোলাম মোস্তফা, ও রোস্তম এবং বাদশা মিয়া সহ তার তিন ছেলে মো: সেলিম, মো: হালিম এবং মো: আকতার হোসেন মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে বলে, এক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি আনয়ন করেন, রায়হানে মারজান। যাহার ডায়েরি নং, ১২৯০/২০২১ সেই ডায়েরিতে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ নেই। অন্যদিকে রায়হানে মারজানের স্ত্রী জাহানারা বেগম। বিজ্ঞ আমলি আদালত ১ পঞ্চগড় সদর পঞ্চগড়ে একটি মামলা করেন। জার মোকাদ্দমা নং ৩০৯ / ২০২১ ধারা- ৩২৩/৪২০/৪০৬/৩৮৫/ ৩৮৬ দ: বি: এই মামলায় বলা হয়েছে, মোঃ বাদশা মিয়া মো: সেলিম মাহমুদ, মো: হালিম ও মোঃ আক্তার হোসেন, এই চারজনের নামে অতি দুর্দান্ত দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, পরসম্পদ,লোভী, খুন-জখমকারী, সন্ত্রাসী বাহিনী, চাঁদাবাজি, একজোট, এক পরামর্শের দুষ্কৃতিকারী ও হারমাইদ প্রকৃতির লোক বলে বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা করে যার সাক্ষী তিনি নিজেই এবং তার স্ত্রী ও কন্যা, এবং একজন ইউপি সদস্, যাহার নাম মোঃ রনিক। সে ৭ নং হাড়িভাসা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ইউপি সদস্য মো: রনিক তিনি বলেন, গত ১৮ জুন ২০২১ তারিখে রোজ শুক্রবার মারজানের বাসায় নাকি বাদশামিয়া সহ আরো চারজন এসে বাসা ঘেরাও করে তাদেরকে মারপিট করে এবং তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন এ বিষয়ে আমাকে সাক্ষী করেছে যা আমি কিছুই জানিনা । এবং এরকম কোন ঘটনা ঘটেছে বলেও আমি জানিনা। এবং সেই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাতে কথা বলে জানা গেছে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি অন্যদিকে জাহানারার স্বামী মো: মারজান ১৯ জুন ২০২১ রবিবারে বিজ্ঞ আমলী আদালত ১ পঞ্চগড় সদর পঞ্চগড়ে। বাদসা মিয়াসহ তার তিন ছেলেদের নামে একটি মারপিটের মামলা করেন।
যার মামলার ধারা নম্বর, ৩৩০/৩৩৫/৩২৬/৩০৭/৪২৯/৩৪ দ: বি: সেই মামলায় বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই ২০২১ তারিকে। পাইকানি পাড়ার কাঁচা রাস্তার পাশে চা বাগান সংলগ্ন টিনের দোচালা ঘরের সামনে মো: মারজান পৌঁছা মাত্রই বাদশা মিয়া সহ তার তিন ছেলে নাকি পথ অবরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারজান কে সোরাদিয়া মাথায় আঘাত করে। এবং বাদছার ছেলে মো: হালিম নাকি রশি দিয়ে হাত পা বাঁধার চেষ্টা করেছে। যার সাক্ষী তার স্ত্রী, এবং তার কন্যা সহ একজন ইউপি সদস্য। সে ৭ নং হাড়িভাসা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ জুলহাস উদ্দিন। এ বিষয়ে তাঁর কাছে গেলে তিনি বলেন, আমি মারপিটের বিষয়ে কিছু জানি না। আমি কিছু দেখিনি। আমাকে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে আমি তাও জানিনা। এবং এমন মারপিটের খবর শুনেছি বলে আমার মনে হয় না ।
এ বিষয়ে মারজানের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে, আজ দেখা করবো, কাল দেখা করব, দুপুরে আসেন, বিকেলে আসেন, এ কথা বলে কাটিয়ে দেন, এবং এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি মারজান। কিন্তু মারজানের স্ত্রী জাহানারা বেগমের সাথে সাক্ষাৎকার করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। এবং ১৬ বছর পূর্বে আমার মামা বাদশা মিয়া খুলনা থেকে আমার কাছে মারজানকে নিয়ে আছে। আমার সাথে বিবাহ দেন বাদসা মিয়া। কিন্তু বাসা মিয়ার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন মারজানকে আমি আনিনি বা বিয়ে-শাদীও আমি দেইনি। এবং এখনো পর্যন্ত তাদের বিবাহ হইছে কিনা তাও সমাজের মানুষ জানে না।
কিন্তু ১০ সালের একটি মামলায় দেখান তার স্বামী মৃত সিরাজ উদ্দিন। এবং ২১ সালের মামলায় দেখান তার স্বামী রায়হানে মারজান, এখানে একটু হিসাব করতে গেলে ১০ থেকে ২১ সাল পর্যন্ত মোট ১১ বছর যা মামলায় দেওয়া আছে । কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর দাবি ওদের ১৬ বছর পূর্বে বিবাহ হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, তাদের বিবাহ শাদী হয়নি। এবং এ বিষয়ে সমাজের মানুষ বিয়ের রেসটেরি দেখতে চাইলে তাদেরকে হুমকি প্রদর্শন করেন এবং বলেন আমাদের বিয়ে হইছে না হইছে তোদেরকে। এ বিষয়ে তোরা নাগ গলালে রাতের ঘুম হারাম করে দিমু। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে এভাবে এলাকার মানুষকে ভয় ভীত দেখিয়ে দির্ঘদিন ধরে বসবাস করে আচ্ছে। তবে এখনো মানুষ তাদের বিয়ে রেসটেরি দেখার জন্য জোর দাবি জানান।