
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অভিযানে দুদকের একটি দল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
লঞ্চের ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সদরদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ টার্মিনালেও অভিযান চালানো হয়।সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও মো. নুর আলম সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন।দুদক জানায়, অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে টিম।
পরে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বিস্তারিত পর্যালোচনার পর কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।অপরদিকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়েও অভিযান চালিয়েছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।রংপুরের দুদক কার্যালয় সূত্র জানায়, এই কার্যালয়ের সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম ও অফিস সহকারী আছিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ভূমি উন্নয়ন কর, রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য সেবা দেওয়ার সময় তারা ঘুস নেন বলে অভিযোগ করা হয়।এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রংপুরের দুদক কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা ছদ্মবেশে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে যান। এসময় সেখানে সেবা নিতে আসা মানুষের কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানতে চান তারা। পরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মো. শহিদুল ইসলাম ও মো. আছিম উদ্দিনের অফিসিয়াল ড্রয়ার, পকেট ও মানিব্যাগ তল্লাশি করে।এসময় তাদের কাছ থেকে ২৯ হাজার ৯শ’ টাকা পাওয়া যায়।
যে টাকার উৎস সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।বিষয়টি লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা মাসুমকে জানায় দুদক টিম।
এরপর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সেই অফিসে ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদায় করা ভূমি উন্নয়ন কর, খারিজ খতিয়ান বিষয়ে অর্থ আদায় করে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখেন।