Subscribe our Channel

বাবুই পাখির গল্প পাখি তো নয় যেন ধ্রুপদী এক শিল্পী

 মোঃ তোতা মিয়া :

 

বাবুই তার এক একটি বাসা যেন একেকটি শিল্পী কর্ম,পরম ধৈর্যের সাথে নিপুন বুননে এক একটি বাসা বোনে বাবুই পাখিরা।নারী বাবুই’র কাছে নিজের যোগ্যতা দেয় পুরুষ বাবুই।কারণ বাসা পছন্দ না হলে নারী বাবু এটি তাকে ছেড়ে চলে যাবে ।

 

 

এভাবেই পুরুষ বাবুই তাল, নারিকেল গাছে দোল খেতে থাকে বাবুই পাখিদের সংসার।বাবুই পাখির বাসা সুনিপুণ কোন শিল্প কর্ম, হোগলা পাতা বা নারিকেল পাতা লম্বা চিকন করে চিরে এক একটি বাসা বোনে পুরুষ বাবুই পাখিরা ।

 

 

যেমন একটানা ১৬ দিন ধরে এই বাসা বনছে পাখিটি, কাজ প্রায় এক প্রকার শেষ, এবার দরকার একজন সঙ্গিনী, সুরে সুরে সেই সঙ্গিনীকে ডাকছে পাখিটি, অবশেষে সারা দেয় নারী বাবুই, এবার পরীক্ষার সম্মুখীন পুরুষ বাবুইটি কারণ তাকে নয় তার বাসা কতটা নিরাপদ সেটাই নিশ্চিত হতে চায় নারী বাবুই,পছন্দ না হলে আবার বুনতে হবে নতুন বাসা,যা বানাতে লাগবে আরো ২০ দিন বাসার ভিতরে একটি অংশে থাকবে ডিম এবং ছানা,অন্যদিকে যাওয়া-আসার স্বরূপ একটি পথ।

 

 

 

পরীক্ষায় পাস করলে পুরুষ বাবুইর বাসা তৈরীর কাজল প্রায় শেষ ঘরে আসে ডিম থেকে প্রকৃতির নিয়ম মত আসে নতুন শিশু।এবার বাড়ি ছাড়ে পুরুষ বাবু এটি ।

 

 

এবার তার নতুন সঙ্গী খোঁজার পালা, আবারো নতুন বাসা বুনে পুরুষ বাবুই এভাবে এক একটি মৌসুমে ৬ টি বাসা আর ৬ সঙ্গীর সাথে কাটে পুরুষ বাবু এর জীবন।

 

 

তাইতো গানের সুরে বলেছিল শিল্পী বাবুল কিশোর তুই বড় রঙ্গিলা বাওয়াই রে সবার উপর ঘর বানাইয়া বসে বসে থাকো সকল পাখি বৃষ্টিতে ভিজে তুমি দেখো মজা রে তুই বড় রঙ্গিলা বাওয়াই রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *