Subscribe our Channel

পঞ্চগড়ে বিয়ের  কথা বলে কলেজ ছারীকে ধর্ষণ কোটে মামলা

মোঃ তোতা মিয়া বিভাগীয় প্রধান রংপুর: পঞ্চগড়ের জগদল ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ। ন্যায় বিচার পেতে ধর্ষককে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল পঞ্চগড় আদালতে মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার। তবে মামলার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক পলাতক রয়েছে।

জানা যায়, আবু সালেক ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করলে ওই ছাত্রী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে আবু সালেকের বাড়ি চলে যায় ছাত্রী। সেখানে তাকে মারধোর করে বের করে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তুলে এনে মেয়ের পরিবারকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেন। ওই ছাত্রীর পরিবার মেয়ের অন্তসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করে।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী পঞ্চগড়ের জগদল ডিগ্রি কলেজের অধ্যায়নরত এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের দারিদ্র এক কৃষকের কণ্যা। আর অভিযুক্ত ধর্ষক আবু সালেক (২১) নামে ঐ যুবক জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মান্দুলপাড়া গ্রামের নজর“ল ইসলামের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী কলেজ যাওয়া আসার পথে আবু সালেক প্রায় তাকে প্রেম নিবেদন করতেন। এক পর্যায়ে দীর্ঘদিন তাকে প্রেম নিবেদন করে সুফল না পেয়ে আবু সালেক সরাসরি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিয়ের প্রতিশ্র“তি ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে আবু সালেকের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবং এর মধ্যেই ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বির“দ্ধে তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আবু সালেক।

এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি আবু সালেককে অবহিত করে। এবং তাকে বিয়ে করে বাড়িতে তুলে নেয়ার কথা বললে সে কালক্ষেপন করতে থাকে। এভাবে ৬মাস অতিবাহীত হওয়ার পর একদিন আবু সালেক তাকে তার বাড়িতে যেতে বলে। ওই ছাত্রী আবু সালেকের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

বর্তমানে ওই ছাত্রী প্রায় ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী জানান, আবু সালেক তার সাথে বিয়ের প্রতিশ্রsতি দিয়ে তার ইচ্ছার বির“দ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আবু সালেককে বিয়ের কথা বললে সে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে যায়। এখন তার সাথে কোন যোগাযোগ হচ্ছে না, আমার গর্ভে তার সন্তান রয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পেতে পরিবারের সহযোগীতায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

কলেজ ছাত্রীর বাবা জানায়, আবু সালেক আমাদের মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা একাধীকবার আবু সালেকের পরিবারে সাথে যোগাযোগ করেছি। আমাদের মেয়েকে ঘরে তুলে নেয়ার আহবান করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা রাখে নি। আমরা মামলা করলে পুলিশ এখনো আসামীকে ধরছে না।

অভিযুক্ত আবু সালেকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এবং এ বিষয়ে তার পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হয় নি।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমাদ হোসেন মো. ফারুক ফিরোজ জানান, ওই ছাত্রী অন্তসত্ত্বা এটা আমরা আল্ট্রাসোনোগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *