
মোঃ তোতা মিয়া জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ে ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে চা বোর্ড, আগে থেকেই লাইসেন্সবিহীন চা বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরেও দেশের উত্তরাঞ্চলে কতিপয় কিছু ব্যবসায়ী লাইসেন্স ছাড়াই চা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় চা বোর্ড। জানা গেছে চা বিক্রয়ের জন্য তিন ধরনের লাইসেন্স দেওয়া হয় চা বোর্ড থেকে। সেগুলো হচ্ছে খুচরা পাইকারি লাইসেন্স, এবং ব্লেন্ডিং লাইসেন্স। কিন্তু পঞ্চগড়ে যারা চা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের অনেকের কোন ধরনের লাইসেন্স নেই। নিয়ম অনুযায়ী চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গলে নিলামের মাধ্যমে চা কিনে আনতে হয়। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, দায়িত্বপ্রাপ্ত চা বোর্ডের কর্মকর্তা ও এক্সনটেসন অব স্মল হোল্ডিং টি কাল্টিভেশন ইন নর্দান বাংলাদেশ এর প্রকল্প পরিচালক শামীম আল মামুন জানান নিয়ম অনুযায়ী যাদের লাইসেন্স আছে শুধু তারা চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গল থেকে চা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। লাইসেন্স ছাড়া কেউ কোন প্রকার প্যাকেট চা বিক্রি করতে পারবেনা। এটি কঠিন দণ্ডনীয় অপরাধ। পঞ্চগড় থেকে চা কেনাবেচার কোন সুযোগ নেই। তবে ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ স্বাপেখে পঞ্চগড় থেকে নিজস্ব ব্র্যান্ডে নিজেদের উৎপাদিত চায়ের ১৫ শতাংশ বিক্রি করা যাবে বলে জানান শামীম আল মামুন।
সমতল ভূমিতে চা চাষে বিখ্যাত পঞ্চগড় জেলায় ব্যাপক প্রসার ঘটেছে খুচরা ও পাইকারি চা ব্যবসার।
সরকারি অনুমোদন নিয়ে বৈধভাবে চা প্যাকেটজাত করে খুচরা ও পাইকারি ভাবে বাজারজাত করছেন অনেকেই।তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বৈধ চা ব্যবসায়ীরা।পঞ্চগড় থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে চা সরবরাহ করছেন চা ব্যবসায়ীরা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল বাজার এলাকার চা ব্যবসায়ী মোঃ সাব্বীর হোসেন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স সাদিয়া টি হাউস এবং প্যাকেটের নাম (নিউ তেঁতুলিয়া চা) ব্ল্যাক টি আমরা প্যাকেট করি এবং বাজারজাত করি।আমরা চট্টগ্রাম ওয়াকশন বাজার থেকে চা ক্রয় করে পরবর্তীতে বাজারজাত করি । এতে যে টাকা খরচ হয় তার থেকে কম দামে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা সরাসরি কারখানা থেকে চা ক্রয় করে বাজারজাত করে ।এতে আমরা বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমরা বৈধ চা ব্যবসায়ীরা, অবৈধ চা ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি দুরুতো এর একটা দেখিতো করা দরকার আমরা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।একই কথা বলেন এলাকার বিসমিল্লাহ্ ট্রেডার্স এর (আল-আমিন ব্ল্যাক টি ) কোম্পানির প্রোপাইটার মোঃ সমসের আলী।তিনি বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন স্থানে চা সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু অবৈধ কিছু চা ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা ব্যবসা করতে হিমসিম খাচ্ছি।এতে একদিকে সরকার রাজস্ব হাড়াচ্ছে, অপরদিকে বৈধ ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না ।বিষয়ে পঞ্চগড় জেলায় সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা কারখানা (নর্থবেঙ্গল চা ফ্যাক্টরির) প্রোডাকশন ইনচার্জ মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য কৃষকদের কাছ থেকে ভালো মানের চা পাতা ক্রয় করে পরবর্তীতে উন্নত মানের চা প্রস্তুত করা ।
সেই চা ওয়াকশন বাজারে বিক্রি করা।এতে ঠিকঠাক সরকারের রাজস্ব আদায় হয় ।তবে কেউ অবৈধ ভাবে চা বাজারজাত করলে সেটা প্রশাসনের নজরে আনা দরকার।