
মোঃ তোতা মিয়া জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ে ৩৬ বছর ধরে অবহেলিত অসহায় বিনা বেতনে চাকরি করেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকগণ। অনেক শিক্ষক বিনা বেতনে চাকরি করে অবসরে গিয়ে মারা গেছেন। দীর্ঘ যুগ ধরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা আশ্বাসের বাণী শোনালেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি বেতন ভাতা। পঞ্চগড়ে অর্ধশত শিক্ষক ২৩ শত টাকা, ২৫ শত টাকা হারে মাসিক অনুদান পেলেও বাকি প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক যুগ যুগ ধরে বিনা বেতনে শিক্ষকতা পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন বাঁচার তাগিদে অধিকাংশ শিক্ষক দিনে মাদ্রাসায় চাকরি করে,আবার রাতে রিস্কা- ভ্যান চালিয়ে চা কোম্পানিতে কাজ করে, মুরগির ফার্মে কাজ করে জীবন জাপন করছেন। পঞ্চগড় জেলায় চল্লিশটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চালু রয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষাবান্ধব সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের করুণ দশা বিবেচনা করে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন। কিছু শিক্ষক প্রণোদনা পেয়েছেন। অল্প কিছু সংখ্যক শিক্ষক প্রণোদনা পাওয়ার বাকি রয়েছে। এদিকে লুৎফর রহমান ও তার সহযোগী কিছু কথিত গণমাধ্যমকর্মী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে জেলা প্রশাসক শিক্ষা শাখা, উপজেলা নির্বাহি অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে মাদ্রাসা গুলোর নাম সংগ্রহ করে হুবহু কিছু কাগজপত্র, সিল, সাক্ষর তৈরী করে প্রতিষ্ঠান গুলোর নামে কাগজপত্র নিজেরাই তৈরি করে প্রতিষ্ঠান গুলোকে ভুয়া প্রমান করার জন্য মিথ্যা সংবাদ অনলাইন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় পরিবেশন করেন। বিভিন্ন দপ্তরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জিম্মি করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক পঞ্চগড় এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। ডুবানোসি বরকতিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, শুরিভিটা হাসনায়নিয়া নাজেরিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, পামুলী নগরডাঙ্গা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকগণ।