Subscribe our Channel

পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা ইউনিয়নে লাউ এর বাম্পার ফলন হয়েছে 

মোঃ তোতা মিয়া জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড় :

পঞ্চগড় হাড়িভাসা ইউনিয়নে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে ইউনিয়নের সবজি চাষি খাজমত  জানান, এবারের ঝড়-বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে জমিতে বেশি হাল চাষ করতে হচ্ছে। একটু খরা হলে শুরু হয় চাষাবাদ। আবার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয়ে যায় ঝড় বৃষ্টি। আবার খরা হলে নতুন করে চাষ করতে হয়। এভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে তৈরি করতে হচ্ছে সবজি চাষের জমি।

হাড়িভাসা ইউনিয়নের সবজি চাষি আরো একজন বলেন, দুর্যোগ যখন আসে চতুর্দিক থেকেই আসে। একদিকে মহামারি করোনা ভাইরাস অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আগাম সবজি চাষ করতে পারছিনা আমরা।

মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে জীবনকে বাঁচাতে যেভাবে যুদ্ধ করতে হচ্ছে আমাদের। ঠিক সেভাবেই আগাম সবজি চাষ করার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝড়-বৃষ্টি সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। করোনার কারণে অনেক জেলার বেকার যুবকরা চাকরির দিকে না ঝুঁকে নেমে পড়েছেন সবজি চাষে।

আবহাওয়া ভালো থাক আর না থাক তারপরও আগাম সবজি চাষ করতে পিছপা হননি সবজি চাষিরা। বর্তমানে বাজারে কম পাওয়া গেলেও মাসখানেকের মধ্যে সবজিতে ভরপুর হবে পঞ্চগড়ের হাট-বাজারগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারগুলো। দাম কিছুটা বেশি হলেও ভোক্তারা স্বাদ নেবেন শীতকালীন আগাম শাকসবজির।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাইকানি গ্রামের সবজি চাষি আব্দুল মকলেছ বলেন, ঝড় বৃষ্টির কারণে অনেকে সবজি চাষাবাদ কমিয়ে দিয়েছেন। গতবারে যে চাষি ৭ বিঘা সবজি চাষ করেছিলেন এবারে তা কমে এসেছে তিন থেকে চার বিঘায়। টানা বৃষ্টির কারণে অনেকেই জমিতে পানি থাকার কারণে সবজি চাষ করতে পারেন না । এবার সবজি চাষে খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দাম ভাল পাবো বলে আশা করছি।

কৃষি বিভাগে সূত্রে জানা যায়, গতবারের তুলনায় এবারে জেলায় কম সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। গতবারে জেলায় ৬ হাজার পাঁচশ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছিল। টানা ঝড় বৃষ্টির কারণে এবার হয়েছে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন হবে দুই লাখ মেট্রিক টন শাক-সবজি।

পঞ্চগড়ের কৃষকেরা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির বাম্পার ফলন হবে। আমাদের উত্তর বঙ্গের মাটি বেঁশ উর্বর ও আঠালো তাই ফলন বেশি হয়। এ অঞ্চলের সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম বরিশালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। কৃষি বিভাগের  মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কারিগরি সহায়তাসহ  পরামর্শ  দিয়ে  যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *