Subscribe our Channel

তেঁতুলিয়ায় মাগুরমাড়ী চৌরাস্তা পমিজ উদ্দিন দাখিল মাদরাসার লোক দেখানো লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার ৭নং দেবনগড় ইউপিথর মাগুরমাড়ী চৌরাস্তা পমিজ উদ্দিন দাখিল মাদরাসার তিন পদে নিয়োগে লোক দেখানো লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা গত ৫অক্টোবর/২০২০ সোমবার সকাল ১১:০০টায় কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই পরীক্ষা কমিটিগণ তড়িঘড়ি করে পঞ্চগড়ে রওনা দেয়। মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেলে পরীক্ষার দিন বিকেলে ওই মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট/সম্পাদক মো: আমিরুল ইসলামকে মুঠোফনে বারংবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাবলুকে ফোন খোলা থাকলে তিনি কোন প্রকার কথা বলার সুযোগ দেয়নি। অন্যদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারভিন আকতার বানুর মোবাইল ফোন খোলা থাকা সত্ত্বেও বারংবার ফোন দিলে কোন প্রকার সারা পাওয়া যায়নি। কমিটি একজোট হয়ে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ করেছে বলে এলাকায় অভিযোগ পাওযা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানায়ায়, মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট/সম্পাদক মো: আমিরুল ইসলাম গত ১৬ মে/২০১৬ এবং ৩ অক্টোবর/২০১৯ তারিখে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ব্যাংক ড্রাপ্ট বাবদ প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে দুই নিয়োগে ১৫০০/- (এক হাজার পাঁচ শত) টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও তিনি আরো দুথটি পদের নিয়োগ দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তৃতীয় বারের মত গত ৮জুলাই/২০২০ তারিখে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং ওই একই পত্রিকায় ভিন্ন তারিখে নৈশ্য প্রহরী ও একজন আয়া পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিলে ৩পদে প্রায় ৩৫জন আবেদন করেন। এতদিনের নিয়োগ বাণিজ্যের সুদ্ধি কৌশল অবলম্বন করে আবেদনের প্রেক্ষিতে মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট/সম্পাদক প্রার্থীদের প্রবেশ পত্রে সেপ্টেম্বর মাসে সহি স্বাক্ষর করিলে তা অক্টোবর মাসের ৩ তরিখে প্রার্থীদেরকে সরবরাহ করেন। যা প্রবেশ পত্রে বলা হয়, ৫অক্টোবর/২০২০ সোমবার সকাল ১১:০০টায় কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রার্থীদের প্রস্তুতি নিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে অভিযোগকারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর প্রার্থী মো: মেহেদী হাসান (মিলন) জানান, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি এবং মাদরাসার সুপার চাকরি দেয়ার নামে ৩জন প্রার্থীর কাছ থেকে প্রাায় ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা ঘুষ নিয়েছে। যা এলাকার কম বেশি সবাই অবগত আছেন। তিনি বলেন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোতাহারের কাছ থেকে ১০লক্ষ টাকা, নৈশ্য প্রহরী পদে সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ৭লক্ষ টাকা এবং আয়া পদে মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ৩লক্ষ টাকা নেয়া হয়েছে। টাকা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত কিভাবে জানতে চাইলে জানান, এলাকার মানুষই বলবেন টাকা নেয়ার কথা। তিনি আরোও জানান, টাকার বিনিময়ে পূর্বে নির্ধারিত প্রার্থীকে চুড়ান্ত করার লক্ষে নিয়মমাত্র তাদেরকে লোক দেখানোর জন লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষায় ডাকা হয়।
নন্দগছ গ্রামের এক ব্যক্তি ভিডিও সাক্ষাৎকারে জানান, যে নিয়োগটি দেয়া হবে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ মাদরাসার সুপার নৈশ্য প্রহরী পদের এক প্রার্থীকে মাদরাসার পাশে থাকা জমি বিক্রয় করিয়ে দেওয়ায়ে টাকা নিয়েছে সে জানেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *