Subscribe our Channel

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে গৃহবধূ ধর্ষণকারীকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় পাল্টা অসত্য মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১২ আগস্ট/২০২০ বিকাল ৫টায় উপজেলার ভজনপুর ইউপি’র মালিগছ গ্রামে গত ইং ৬ মে/২০২০ তারিখে গোপনে তার গোসলের নগ্ন ভিডিও ধারণ করেছে হুমকি প্রদান করে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা দায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি’র চেয়ারম্যান, সদস্য ও চৌকিদারকে স্বাক্ষী বানিয়ে ৬জনের নামে পাল্টা মামলা করেছেন ধর্ষণকারীর পিতা নুর ইসলাম। যার মামলা নং- বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পঞ্চগড়-এর নারী ও শিশু বিবিধ ৮৬/২০।
উল্লেখ্য যে, গত ১৩ আগস্ট/২০২০ ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার থানার মামলা নং- ০৬ এবং জি.আর মামলা নং-৯৪। মামলায় আসামি করা হয়েছে ওঁই একই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আসামি নাইমুল হোসেন সোহাগ-এর বিরুদ্ধে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মালিগছ গ্রামের সোহাগ দুই বছর বিবাহের এক গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দেয় এতে গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় গত ইং ৬ মে/২০২০ তারিখে গোপনে তার গোসলের নগ্ন ভিডিও ধারণ করেছে হুমকি প্রদান করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এতে গৃহবধূ তার সংসার ও লোক লজ্জার ভয়ে এতদিন ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করেনি। এক পর্যায়ে নুর ইসলামের ছেলে সোহাগ ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের ভয়ভীতির হুমকি দিতে থাকে। পরে অতিষ্ঠ হয়ে ওই গৃহবধূ বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে তার স্বামীসহ এলাকার লোকজন সোহাগকে আটক করে ৬নং ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয় পরে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় বিষয়টি অবগত করেন।
এ ব্যাপারে পাল্টা মামলার বাদী নুর ইসলাম জানান, গত ১২ আগস্ট/২০২০ তারিখের ঘটনায় আসামী ভুক্তরা তার ছেলে সোহাগকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মারধর করা হয় বলে সে মামলাটি করেন।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানান, সোহাগ কয়েকদিন আগে গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন এবং পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছিলেন।
২নং আসামী ভুক্ত (গৃহবধূর স্বামী) ফারুক জানান, সোহাগ তার স্ত্রীকে নগ্ন ভিডিও’র ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এতে সোহাগ স্বীকারও করেছে বলে তিনি জানান। যার ভিডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে। সোহাগ তার স্ত্রীকে একবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। এভাবে ধর্ষণকারী সোহাগ তার স্ত্রীকে নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে আসার একপর্যায় অসহ্য হয়ে গৃহবধূ তাকে অবগত করালে সোহাগ পালানোর চেষ্টা করেন অত:পর গ্রামের কয়েকজন মিলিয়ে তাকে আটক করে ১ম-এ ইউনিয়ন পরিষদ অত:পর থানায় অবগত করেন।
এতে মামলায় আসামীভুক্তরা জানান, তাদের উপর যে মামলা করা হয়েছে সেটি মিথ্যা, বানোয়াট। নুর ইসলামের ছেলে ধর্ষণকারী সোহাগ পালিয়ে যাওয়ায় তারা তাকে আটক করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধ্যা জানিয়ে আইনকে সম্মান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মকছেদ আলী জানান, আমাকে মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে তিনি অবগত নন এবং পরিষদের যাদেরকে স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা ঐদিন পরিষদে বসা ছিলেন তারা ওই মামলার ঘটনার বিষয়ে কেউ কিছু জানেননা। চেয়ারম্যান বলেছেন, মালিগছ গ্রামের ২০/২৫জন লোক নুর ইসলামের ছেলে এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করেছে ধরিয়ে নিয়ে এলে শুক্রবারের দিন বসতে চাইছেন। তার এ সালিশি বসাকে বিলম্ব মনে করায় স্থানীয়রা থানায় অবগত করেন। চেয়ারম্যান আরও জানান, নুর ইসলামে ছেলের বিরুদ্ধে থানায় আরও অভিযোগ থাকায় এবং ধর্ষণের কারণে থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, ধর্ষণের ঘটনায় আমরা আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি বর্তমানে আসামী জামিনে মুক্তি আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *