
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়ায় প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির দুই স্কুল ছাত্রী।
ধর্ষণের অভিযোগে ২৫ নভেম্বর বুধবার দুপুরে ওমর ফারুক ইমন (২০), আনোয়ার হোসেন (২৫) ও সোহাগ (২২) আটক করেছে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভজনপুর ইউনিয়নে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দুই স্কুল শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দাখিল করেছেন। আটককৃত ইমন ভজনপুর ইউনিয়নের কাউরগছ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের পুত্র, আনোয়ার হোসেন একই গ্রামের দারাজ উদ্দিন খুমানোর পুত্র ও সোহাগ পূর্ব বামনপাড়া গ্রামের এনামুল হকের পুত্র।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রেমিক ইমন তার প্রেমিকা ও তার বান্ধবীকে নিয়ে ভজনপুরে নিয়ে যায়। সেখানে বিকেলভর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রাতে ভজনপুর নিজবাড়ী এলাকায় এক বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ধর্ষণ করা হয়। এদিকে পরিবার দুটি তাদের মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে চারদিকে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। রাত ৩টার দিকে জানতে পারেন ভজনপুর এলাকায় হাসুনুরের বাড়িতে হেফাজতে রয়েছে। পরে ভোর ৭টায় গিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে মামলা করার লক্ষে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ খোঁজ খবর নিয়ে প্রথমে আনোয়ার হোসেন ও পরে ইমন ও সোহাগকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীর বাড়ি উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে। উভয়ের একজনের পিতা ভ্যান চালক, অন্যজন দিনমজুর।
বিকেলে থানায় তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, দুপুরে আমার মেয়ে ভজনপুরে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় দু:শ্চিন্তায় পড়ি। অনেক রাত পর্যন্ত আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও না থাকা খবরে হতাশ হয়ে পড়ি। রাত ৩টার দিকে একজনের মোবাইলে জানতে পারি ভজনপুরে এক আত্মীয় বাড়িতে হেফাজতে রয়েছে। পরে জানতে পারি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার চেয়ে থানায় মামলা করি।
তবে ধর্ষণের অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, তার ছেলেকে এ ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন রায় সাংবাদিকদের বলেন, সকালে ধর্ষণের অভিযোগ জানার পর বেলা ১১টায় তেঁতুলিয়ায় মডেল থানায় এসে আসামীদের ধরতে জোর পদক্ষেপ নেই। অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ ও সহযোগিতার সাথে সম্পৃক্ত ৩জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।