
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
তামাক নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছুটা অগ্রগতি হলেও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আইন মানছে না কোম্পানিগুলো। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নানা কায়দায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বিশেষ করে ছবিসহ সতর্কবার্তা দেয়ার ক্ষেত্রে এবং বিক্রয়স্থলে পণ্যের প্রচারণায় আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর বাড়তি করারোপেরও সুপারিশ করেছেন তামাক বিরোধীরা।
গত ৯ অক্টোবর জাতীয় তামাক তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে এমপি, মন্ত্রীরা তামাক নিয়ন্ত্রণে নানা বানী দিলেও তা মেনে চলছে না তামাক কোম্পানি গুলো। এ ছাড়া নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে তামাক বিরোধী প্রতিষ্ঠানগুলো।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের শহর থেকে শুরু করে গ্রাম গঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিভিন্ন সিগারেটের মূল্য তালিকা টাঙানো রয়েছে। এই কৌশলে তামাকজাত পণ্যের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বিপণন কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির বেতনভুক্ত এজেন্টরা সেই কোম্পানির নামাঙ্কিত পোশাক পড়ে সিগারেটের ক্যাম্পেইন করে চলেছে।
এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ পান, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল বিক্রেতারা তো রয়েছেই। কখনো কখনো বিনা মূল্যে সিগারেট বিতরণ করে মান যাচাইয়ের তালিকা করছে। তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সব মিলে ঠাকুরগাঁও শহরেই এই ধরনের ক্যাম্পেইনের জন্য আছে প্রায় ২’শ কর্মী কাজ করছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসো জীবন গড়ির নির্বাহী পরিচালক ও জেলা তামাক বিরোধী ট্রাস্কফোর্স কমিটির সদস্য নবেল ইসলাম শাহ বলেন সরকারের দিক থেকে তামাক কোম্পানি গুলোকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মেনে কার্যক্রম চালানোর কথা বলা হলেও কোন ভাবেই মানছেন না তারা।