Subscribe our Channel

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সালিশে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর

মোঃ ইলিয়াস আলী, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে সালিশ-বৈঠকে বিচার চলাকালে উত্তেজিত দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিচারক ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করেছেন বিচারপ্রার্থী দু’পক্ষের লোকজন। এমন ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বোয়ালধার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে লুৎফর রহমান (৪৫) এক বৃদ্ধ আহত হয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বিচারপ্রার্থী তৈয়ব আলী ছেলের মোহাম্মদ আলী জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে আমরা ভানোর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব সরকারের কাছে বিচার প্রার্থনা করলে গত মঙ্গলবার সালিশের দিন ধার্য করেন। ওইদিন প্রতিপক্ষের লোকজন হাজির না হওয়া বুধবার সকাল ১০টায় সালিশ বসে। এতে স্থানীয় ইউপি মেম্বার, সাবেক মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো জানান, বৈঠক শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধর শুরু হয়। প্রতিপক্ষ সাইদুর রহমানের লোকজনের আঘাতে লুৎফর রহমান গুরুতর আহত হয়। দু’পক্ষের মারধরের সময় চেয়ারম্যানকে মারধর করা হয়েছে। তবে ভানোর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব সরকার মোবাইল ফোনে জানান, দু’পক্ষই উত্তেজিত। সালিশ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাঠিসোঁটা, চেয়ার-টেবিল তুলে মারধর শুরু করে। আমি চেয়ারটি ধরতে গেলে আমার গায়ে চেয়ারটি লাগে তবে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি ৷ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে দেখে আমি ইউপি কার্যালয়ে চলে আসি। বিচার সালিশে থাকা একাধিক লোকজন চেয়ারম্যানের গায়ে লাগা আঘাত দেখেছেন এবং স্বীকার করেছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলছেন, সালিশে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের মারপিটের ঘটনা এবং চেয়ারম্যানের গায়ে হাত তোলা চরম সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র। বিষয়টি সঠিক সুরাহা না হলে স্থানীয় সালিশ মীমাংসা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ভ্রান্ত ধারণার জন্ম নেবে। অপরপক্ষ হামিদুর রহমান জানান, একই পরিবারের অল্প জমি নিয়ে এ বিরোধ। কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় তৈয়ব আলীর লোকজন উত্তেজিত হয়ে মারধর শুরু করেছে। আমরা ওঠে চলে এসেছি। বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল হক প্রধান মোবাইল ফোনে জানান, এমন কোনো ঘটনার বিষয়ে থানায় কেউ অবগত করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *