
দুঃখ-দুর্দশা ভেতরে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে মানুষ দোয়া করে থাকে। দোয়া কবুলের বিষয়টি কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
আর মাছওয়ালার কথা স্মরণ করুন তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন, অতপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধৃত করতে পারব না। অতপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে আহবান করলেন-
لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
বাংলা উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।’
অর্থ : তুমি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গোনাহগার।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৭)
এ দোয়া কবুল সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনা-
কুরআনুল কারিমে সুরা আম্বিয়ার শেষ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের সেই দোয়া কবুল করা সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ
‘অতপর আমি তাঁর (হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের) আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনিভাবে বিশ্ববাসীদের মুক্তি দিয়ে থাকি।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৮)
এ আয়াতের এটা স্পষ্ট যে, মানুষের দুর্দশা, দুঃখ ও কষ্ট আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি তা রহমতের দৃষ্টিতে কবুল করেন। ঠিক যেভাবে বিপদের মুহূর্তে আল্লাহ ইউনুস আলাইহিস সালামের দোয়া কবুল করেছিলেন।