
নিজস্ব প্রতিবেদক : সেখানকার বসবাসরত আগুনে পোড়ে যাওয়া ব্যাক্তিরা জানালেন, বারং বার আগুন লাগার কারণেই এই বস্তিটি সবার কাছে ‘পোড়াবস্তি’ নামে সকলের কাছেই পরিচিত। হয়তোবা কারো অসাবধানতায়, কোন দুর্বৃত্তরা আগুনে পোড়ে এই বস্তিটি। সেখানকার অসহায় বাস্তুহারা ব্যাক্তিরা সেখানে বসবাস করে দিন আনে দিন খায় তবুও তাদের রাতের আধাঁরের খুম যেন কেউ কেড়ে নিচ্ছে । সাজানো গুছানো পরিবার গুলেঅ বরাবরই এই ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হচ্ছে । তাদের কোন বাসস্থানের সঠিক কোন ব্যাবস্থা হয়নি ।
গত শুক্রবার রাত ১০টা ৩ মিনিটে এই বস্তিতে আগুন লাগে এবং সে সময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিটের সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুড়ে যায় ৭৩টি ঘর। রাতে তাদের ঠাঁই হয় খোলা আকাশের নিচে।
গতকাল সকালে পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেসের প্রতিবেদকরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরে তাদের সকলের আহাজারি কান্নায় ভেঙ্গে পরে আমাদের প্রতিবেকেরা ক্ষতিগ্রস্তদের কান্না দেখেকোর চোখের পানি আটকে রাখতে পারবে?
ঘটনাস্থলে গিয়ে কল্যাণপুর ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুল মান্নান বলেন, বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ কেজি চাল ও দুই হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেসকে বলেন, বস্তির আগুনের কারণ সাধারণত শর্টসার্কিট, সিলিন্ডার গ্যাস কিংবা লিকেজ থেকে হয়। এখানে আগুনের কারণ কী তা জানতে আজ একটা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তেই বের হয়ে আসবে অগ্নিকাণ্ডেরঘটনা ।